নতুন আইফোন
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩একটা সময় ছিল, যখন স্টিভ জবস আইফোনের নতুন মডেল হাতে মঞ্চে দাঁড়ালে সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যেত৷ বিশ্বব্যাপী বিক্রির জোয়ারে হু হু করে উঠে যেত অ্যাপল কোম্পানির শেয়ারের মূল্য৷ কিন্তু দিনকাল বদলেছে৷ আইফোনের দু-দুটো নতুন মডেল পেশ করার এক দিন পর কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশ পড়ে গেছে৷
কেন এমন অঘটন ঘটছে? বিশেষজ্ঞরা এর একাধিক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন৷ প্রথমত রং-বেরংয়ের প্লাস্টিকের আইফোন ফাইভসি ও তার দামি সংস্করণ আইফোন ফাইভএস – এই দুই মডেলের মধ্যে তেমন কোনো নতুন চমক নেই৷ ফাইভএস মডেলে রয়েছে নতুন অ্যাপস প্রসেসর, উন্নত ক্যামেরা ও নতুন মোশান সেন্সর-এর নানা গুণাগুণ৷ ‘টাচ আইডি' নামের এক প্রযুক্তির সাহায্যে মালিকের আঙুলের ছাপ দিয়ে লক করা ফোন খোলা যাবে৷ তবে এ সব গুণাগুণ প্রত্যাশার তুলনায় এমন কিছু বেশি নয়৷ এর আগেও অবশ্য দেখা গেছে যে একই সিরিজের আইফোনের কোনো ‘এস' মডেল তেমন বাড়তি চমক আনতে পারে নি৷ ফলে আসল চমকের জন্য আইফোন সিক্স-এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেই অ্যাপল-ভক্তদের ধারণা৷
তাছাড়া স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিযোগিতা মারাত্মক হারে বেড়ে গেছে৷ এই অবস্থায় অ্যাপল কোম্পানি এই প্রথম সস্তার একটি মডেল পেশ করলেও বিশেষ করে চীন ও ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাজারে তেমন উচ্ছ্বাস জাগাতে পারে নি৷ কারণ আইফোনের সস্তার মডেল অনেকের কাছেই সস্তার মনে হচ্ছে না৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ফাইভসি-র দাম ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশো ডলার৷ চীনে তা ৭০০ ডলারেরও বেশি৷ বিশেষ করে গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়েড' অপারেটিং সিস্টেম ভরা স্যামসাং-এর মতো অনেক কোম্পানির উন্নত স্মার্টফোনের থেকে অনেক কম দামে পাওয়া যায়৷ অ্যাপল সেই বাজারে পা রাখতে পারবে, এমন সম্ভাবনা কম৷ এই অবস্থায় দামি ও সস্তার দুই আইফোন মডেল পরস্পরের জন্য উল্টে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছে৷
তবে গোঁড়া আইফোন ভক্তের সংখ্যাও কম নয়৷ নতুন মডেলের বায়না করতে জাপানে দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে৷ আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর জাপানে নতুন দুটি মডেলের বিক্রি শুরু হবে৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)