1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনমোহন সিং-এর জাপান সফর

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৮ মে ২০১৩

ভারতের ‘‘পুবে তাকাও’’ নীতি নতুন করে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের সফরে গেছেন জাপান ও থাইল্যান্ডে৷ জাপানের সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিনিয়োগ ও বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা৷

https://p.dw.com/p/18ero
Indian Prime Minister Manmohan Singh, blue turban, arrives to attend a meeting to condole the death of victims of Saturday's Maoist attack at the Congress party office in Raipur, Chhattisgarh state, India, Sunday, May 26, 2013. Officials reacted with outrage Sunday to an audacious attack by about 200 suspected Maoist rebels who set off a roadside bomb and opened fire on a convoy carrying Indian ruling Congress party leaders and members in an eastern state, killing at least 24 people and wounding 37 others. (AP Photo)
ছবি: picture alliance/AP

টোকিও-নতুন দিল্লি সম্পর্কের মেরুদণ্ড রাজনীতি, অর্থনীতি ও এনার্জি নিরাপত্তা৷ দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য এনে ব্যাপক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বা পার্টনারশিপের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো, যা হবে এশিয়ার স্থায়ী স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের অঙ্গ৷ চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং সেই বার্তাই দেবেন জাপানি নেতৃত্বকে৷

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কর্মসূচির শীর্ষে আছে পশ্চিম ভারতের নির্ধারিত পণ্য চলাচলকারী করিডর এবং দিল্লি-মুম্বই শিল্প করিডর৷ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বিশেষ করে সমুদ্রপথে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত-জাপান বিশেষ সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নেবে৷ দু’দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়া তার অন্যতম৷ কথা হবে জাপানে তৈরি জলে-স্থলে চলার উপযোগী বিমান বেচাকেনার বিষয়ে৷ জাপান মোট ১৫টি এই ধরনের উভচর বিমান বিক্রি করতে আগ্রহী ভারতকে৷ আগে জাপান শুধু প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ বিক্রি করে এসেছে৷

বিশ্লেষকদের মতে, ভারত-জাপান প্রকৃত স্ট্র্যাটিজিক পার্টনারশিপ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের অনুঘটক হতে পারে৷ ভারতের সঙ্গে টোকিও-র বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা এবং সামরিক পার্টনারশিপে চীনের পররাষ্ট্র নীতির কাছে ভারতকে থাকতে হবে না নতজানু হয়ে৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ভারত-বন্ধু৷ আশা করা যায়, বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতার রাজনৈতিক অন্তরায় দূর করতে সক্ষম হবেন তিনি৷ চীনকে সামনে রেখে এতদিন ভারতও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল ধীর গতিতে৷

হালের লাদাখ সীমান্তে চীনেরবিতর্কিত অনুপ্রবেশের ঘটনার পর ভারত আর সময় নষ্ট করতে চাইছে না৷ বিকল্প সমর্থন জোগাড় করতে নেমে পড়েছে জোরেসোরে৷ জাপানও তার চীন নীতির কিছু নেতিবাচক দিক নিয়ে বিব্রত৷ জাপানি ভূখণ্ডের ওপর চীনের দাবি এবং সেই দাবি পূরণে সামরিক শক্তি প্রদর্শন৷ এর অভিঘাতে দিল্লি-টোকিও আরও কাছে আসতে চায় ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায়৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, এশিয়ার ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে ভারত বা জাপানকে সমকক্ষ মনে করে না চীন৷ চীনা প্রবাদ, একই জঙ্গলে দুই সিংহ থাকতে পারে না৷ জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভারত ও জাপানের স্থায়ী সদস্যপদে তাই চীনের আপত্তি৷

জাপানের পর প্রধানমন্ত্রী যাবেন থাইল্যান্ডে৷ আশিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য৷ ভারতের সঙ্গে প্রাচীন সাংস্কৃতিক এ ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ৷ সমুদ্রবর্তী দেশ হিসেবে ভারত ও থাইল্যান্ডের সমুদ্রপথ নিরাপত্তার স্বার্থ অভিন্ন৷ দু’দেশের মধ্যে আছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা৷ সেই সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার বিষয়ে থাই নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিনিময় হবে ড. মনমোহন সিং-এর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য