‘বর্ধমান বিস্ফোরণে জড়িতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মমতা’
১ ডিসেম্বর ২০১৪ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-র সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের ধারণা৷ রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালবাগ এতিমখানা মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাদের কাছে পাঁচটি ডেটোনেটর, দুটি জেল বোমা এবং বিস্ফোরক তৈরির উপাদান পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাঈদুর রহমান জানান৷
তিনি বলেছেন, এরা রোহিঙ্গা জঙ্গি৷ মিয়ানমারের জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও), আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়ন (এআরইউ) ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি সংগঠন গ্লোবাল রেহিঙ্গা সেন্টারের (জিআরসি) সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে৷
গত ২রা অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণে দু'জন নিহত হওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র কর্মকর্তারা বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সম্পৃক্ততার কথা জানায়৷
ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে শেখ রহমতুল্লাহ সাজিদ নারায়ণগঞ্জের মাসুম বলে বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও নিশ্চিত হয়েছেন৷
গ্রেপ্তারের খবরটি বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে৷
ভারতের নাগরিক নীলিমা দত্ত এবং অনুরাধা সেনগুপ্তা টুইটারে এইআইএ-র তদন্তে গাফিলতি সংক্রান্ত একটি সংবাদ শেয়ার করেছেন৷
সেলিম সামাদ কলকাতায় বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জেএমবি সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের খবরটি শেয়ার করেছেন৷
রাজেশ ঘোষ লিখেছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণে জড়িতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷
এ সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-আইবিএন নিউজ৷
এ এম জাহিদ এবং আসাদ ইকবাল তিন জেএমবি সদস্যদের গ্রেপ্তারের খবরটি শেয়ার করেছেন৷
বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের পশ্চিমবঙ্গে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে টুইটারে টুইট করেছেন কিশোর কর ৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ