রয়েসের দিকে তাক?
১৬ আগস্ট ২০১৪একদিকে একাধিক প্লেয়ারের ইনজুরি, অন্যদিকে বিশ্বকাপ (জয়ের) উল্লাসের পর অবসাদ ও ক্লান্তি অন্তত ছ'জন প্লেয়ারের৷ তবে গুয়ার্দিওলা আশাবাদী৷ টিয়াগো আলকান্তারা, রাফা রাফিনিয়া এবং ফ্রাংক রিবেরি, সকলেই নাকি নিরাময়ের পথে৷ আলকান্তারার হাঁটুর লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার হয় গত মে মাসে৷ জার্মান পত্র-পত্রিকার খবর অনুযায়ী, অক্টোবরের আগে তাঁর মাঠে ফেরার কথা নয়৷ কিন্তু গুয়ার্দিওলা বলেছেন: ‘‘লোকে যা ভাবছে, থিয়াগো তার আগেই ফিরে আসবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত৷''
অন্যদিকে তাঁর দলের ছ'জন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সম্পর্কে গুয়ার্দিওলা বলেছেন: ‘‘ওটা স্বভাবতই এই সব প্লেয়ারদের পক্ষে এবং সেই সঙ্গে ক্লাবের জন্য একটা বিরাট ব্যাপার৷ ওদের সময় আছে৷ আমি জানি ওদের কী ক্ষমতা, কিন্তু ওদের সময় লাগবে৷'' এবং গুয়ার্দিওলা ফিলিপ লাম, বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার অ্যান্ড কোম্পানিকে সে' সময় দিতে প্রস্তুত৷
আসল কথা হলো, ট্রান্সফার উইনডো বন্ধ হলো কিনা, তা নিয়ে পেপ গুয়ার্দিওলার আদৌ মাথাব্যথা নেই৷ বায়ার্নের প্লেয়ার কেনা-বেচার ‘হাই পয়েন্টগুলো' তো এর আগেই সমাপ্ত হয়েছে: যেমন ডর্টমুন্ড থেকে পোলিশ ন্যাশনাল রবার্ট লেভান্ডোভস্কির – বিনা ট্রান্সফার ফি-তে! – বায়ার্নে আগমন৷ তারপর একটির পর একটি ম্যাচে লেভান্ডোভস্কি দেখিয়েছেন, তিনি বায়ার্নের হয়ে স্কোর করতে পারেন, স্কোর করছেন এবং করবেন৷ ওদিকে টোনি ক্রোসকে ভালো দামেই রেয়াল মাদ্রিদকে বেচা গেছে – এবং ক্রোসের কেরিয়ারের পক্ষে তা ভালো বৈ খারাপ নয়৷ আর ক্রোয়াট স্ট্রাইকার মারিও মাঞ্চুকিচ তো প্রায় নিজেই সেধে বিদায় নিয়েছেন, অর্থাৎ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে গেছেন৷ বুদ্ধিমান মাঞ্চুকিচ আগে থেকেই আন্দাজ করেছিলেন যে, বায়ার্নের সাবস্টিটিউট বেঞ্চে এবার অনেককে সাজগোজ করে বসে থাকতে হবে৷
জার্মানিতে ‘হোম-গ্রোন ট্যালেন্ট' বা ‘নিজের বাগানে গজানো প্রতিভা' বলতে যা কিছু বোঝায়, তা কালে ঠিকই বায়ার্নে এসে পৌঁছায়৷ এই বিশ্বকাপের পর বাকি রয়েছেন ডর্টমুন্ডের প্লেমেকার মার্কো রয়েস, যাঁর সম্পর্কে বেকায়দায় মুখ খুলে ফেলে বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট কার্ল-হাইঞ্জ মুশকিলে পড়েছেন৷ তাই তাঁর দলের কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা পরিস্থিতি পরিষ্কার করে দিয়েছেন (?): ‘‘আমি মার্কো রয়েসের ব্যাপারে কার্ল-হাইনৎস রুমেনিগের সঙ্গে কথা বলিনি৷ আমাদের ইতিমধ্যেই আটটা মিডফিল্ডার আছে -–আটটা! ঐ যথেষ্ট৷''
এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)