সরকার গঠনের উদ্যোগ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮সব মতপার্থক্য দূর করতে পারলে বুধবারই জার্মানির আগামী সরকারের কোয়ালিশন চুক্তি প্রকাশ করতে পারে ইউনিয়ন ও এসপিডি শিবির৷ মঙ্গলবার বার্লিনে সিডিইউ দলের দপ্তরে আলোচনায় সরকার গড়ার পথে শেষ কাঁটাগুলি দূর করার জন্য দুই পক্ষের উপরই চাপ বাড়ছে৷ দুই পক্ষই বলছে, সদিচ্ছার অভাব নেই৷
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন শিবির ও এসপিডি দলের মধ্যে দর কষাকষি চলেছে৷ সব খুঁটিনাটি বিষয় স্পষ্ট না হলেও অর্থ, স্বাস্থ্য, শ্রমিক-কর্মীদের অধিকার ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় নিয়ে এ দিন ঐকমত্য সম্ভব হয়নি৷ বিশেষ করে এসপিডি দল শুরু থেকেই তাদের কয়েকটি দাবিতে অটল রয়েছে৷ শ্রমিক-কর্মীদের জন্য যখনই সম্ভব স্থায়ী চাকুরির ব্যবস্থা করতে চায় সামাজিক গণতন্ত্রী দল৷ স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রেও বর্তমান বৈষম্য দূর করার কাজে হাত দিতে চায় তারা৷ অস্ত্র রপ্তানি ও সেনাবাহিনীর বাজেট নিয়েও নিজস্ব আদর্শ কার্যকর করতে চায় এসপিডি৷
বুধবার কোয়ালিশন চুক্তি চূড়ান্ত হলেও সরকার গড়ার পথে শেষ বাধা দূর করার প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে৷ এসপিডি দলের সাধারণ সদস্যদের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হতে ৩রা অথবা ৪ঠা মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে৷ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই সপ্তাহান্তেই পোস্টাল ব্যালট গণনা হবার কথা৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এসপিডি দলের সদস্য তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, একমাত্র তাঁরাই ভোট দিতে পারবেন৷ উল্লেখ্য, বিশেষ করে দলের যুব শাখার মধ্যে মহাজোট সরকারে যোগ দেবার বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বাঁধছে৷
এদিকে প্রস্তাবিত মহাজোট সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে৷ সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, ইউনিয়ন শিবির ও এসপিডি দলের প্রতি ভোটারদের সমর্থন দ্রুত কমে চলেছে৷
নতুন সরকারে এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎসকেও মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ৷ বিশেষ করে এসপিডি দলের সদস্যদের সমর্থন পেতে হলে তাঁকে শীঘ্রই এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে৷