বোন হত্যার দায়ে ভাইয়ের যাবজ্জীবন
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ওয়াসিমের আইনজীবী সরদার মাহমুদ এএফপিকে বলেছেন, আদালত শুক্রবার তার মক্কেলকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে৷ তবে তাঁর আশা, ওয়াসিম উচ্চ আদালতে খালাস পাবেন৷
কান্দিলের মা আনোয়ার মাই আশা করেছিলেন তাঁর ছেলে খালাস পাবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সে নির্দোষ, সে আমার মেয়ে ছিল আর সে আমার ছেলে৷’’
২০১৬ সালের জুলাইয়ে কান্দিল বালুচকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওয়াসিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তখন ওয়াসিম বলেছিলেন, বোনের আচরণ অসহনীয় হয়ে ওঠায় তাকে তিনি খুন করেছেন এবং এজন্য তার কোনো অনুশোচনা নেই৷
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেকে খোলামেলাভাবে প্রদর্শন করে পরিবারের সম্মানহানী ঘটনোয় কান্দিলকে মেরে ফেলাটা আবশ্যক হয়ে পড়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিলন ওয়াসিম৷
পরিবারের অমতে বিয়ে, প্রেম এমনকি ধর্মীয় অনুশাসনের বরখেলাপ করা- এমনসব ‘অপরাধে’ আপনজনদের হাতে পাকিস্তানে প্রতিবছর প্রাণ হারান অনকে নারী৷ কান্দিল বালুচও সেই ‘অনার কিলিং’-এরই শিকার হন৷
কান্দিল বালুচকে হত্যার ঘটনা নিয়ে বড় বড় শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়৷ হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর অনারার কিলিংয়ের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রেখে পাকিস্তানের সংসদে নতুন আইন পাস করা হয়৷
কান্দিল বালুচ ২০১৪ সালে নিজের একটি ‘পাউটিং’ ভিডিও আপলোড করে রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় বিখ্যাত হয়ে ওঠেন৷ এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে নিজেকে আবেদনময় রূপে উপস্থাপন করেন এবং সাহসি বক্তব্য দিয়ে বিতর্কের জন্ম দেন৷
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময় পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারলে নগ্ন হয়ে নাচার ঘোষণা দেন তিনি৷ ওই বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় পাকিস্তান৷ তখন ইউটিউবে আরেকটি ভিডিও আপলোড করেন কান্দিল, নগ্ন হয়ে নাচতে না পারার জন্য ওই ভিডিওতে তাঁকে কাঁদতে দেখা যায়৷
এসআই/এসিবি (এএফপি)
২০১৬ সালের জুলাই মাসের ছবিঘরটি দেখুন...