তারকা হয়ে ওঠার সংগ্রাম
২৭ জুন ২০১৪কিন্তু সবার পক্ষেই তো আর বিশ্ব সেরা কিংবা অন্তত ভালো ফুটবলার হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না৷ সেক্ষেত্রে যেটা হয় যে, যারা সফল হতে ব্যর্থ হয় তারা সবদিকই হারায়৷ সবদিক বলতে, ঐসব শিশু ফুটবলার হওয়ার পেছনে এত সময় দিয়ে থাকে যে, তারা লেখাপড়া শেখার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে৷ ফলে যে সময় তারা বুঝতে পারে যে ফুটবল থেকে ভালো কিছু করা যাচ্ছে না, ততদিনে পড়াশোনা করে ভালো কিছু করার সময়ও শেষ হয়ে যায়৷
ব্রাজিলের একটি সংস্থা হিসেব করে বলেছে, সে দেশে প্রতি ছয় হাজারের মধ্যে মাত্র একজন খেলোয়াড় প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ পায়৷ তবে প্রথম বিভাগে খেললেই যে অনেক অর্থের অধিকারী হওয়া যায় তাও নয়৷ কেননা পেশাদার ফুটবল খেলা ব্রাজিলের প্রায় ৩২ হাজার খেলোয়াড়ের প্রায় ৮০ শতাংশেরই মাসিক আয় গড়ে ৫৪০ ডলারেরও কম৷ পরিমাণটা ব্রাজিলের ন্যূনতম মজুরির দ্বিগুণ৷
তাই তো পাওলো সিজার বেন্তো চান না তাঁর অধীনে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে যেসব শিশু ফুটবলার তারা শুধু ফুটবলের দিকে নয়, মনোযোগ দিক লেখাপড়ার দিকেও৷ ব্রাজিলের রিও ডি জানেরোর ভিডিগাল বস্তির একটি ফুটবল দলের এই কোচ বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘‘আমার বাল্যকালে আমি যে ভুল করেছি সেটা এখনকার প্রজন্মের শিশুরাও করুক সেটা আমি চাই না৷''
‘ফ্যাক্টরি অফ ফ্রাস্ট্রেশন'
সবাই জানে ব্রাজিলে ট্যালেন্টেড ফুটবলার পাওয়া যায়৷ তাই বিশ্বের বড় ক্লাবগুলো ভবিষ্যতের নতুন তারকার খোঁজে সেখানে ছুটে যায়৷ কিংবা খেলোয়াড় খোঁজার জন্য জনবল নিয়োগ করে৷ এভাবেই তৈরি হয়েছে আজকের মেসি, যাঁর প্রতিভা দেখে তাঁকে ছোটবেলাতেই পরিবারসহ স্পেনে নিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা৷
তাই বলে সবার ভাগ্য যে মেসির মতো হবে তা তো নয়৷ ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্সে ক্লাবের কর্মকর্তা মার্সেলো টেইক্সেরা, যিনি একসময় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ব্রাজিলে প্রতিভা খুঁজতেন, তিনি বলেন, ‘‘ফুটবলে শীর্ষে ওঠা লটারির মতোই কঠিন৷'' টেইক্সেরার মতো একইরকম ভাবনা সাও পাওলোর আরেক সাবেক ফুটবলার এদোয়ার্দো টেগোর৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিভার কারখানার পরিবর্তে ফুটবল এখন ব্রাজিলে হতাশার কারখানা৷''
জেডএইচ/ডিজি (এপি, এএফপি)