1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্লগে ভারতের নির্বাচন

১০ মার্চ ২০১৪

সামনের মাসেই ভারতে লোকসভা নির্বাচন৷ বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় এরই মধ্যে গুরুত্ব দিয়ে সেই নির্বাচনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে৷ নির্বাচন নিয়ে লিখছেন ব্লগাররাও৷ লেখা হচ্ছে ফেসবুকেও৷

https://p.dw.com/p/1BMqR
Indien Wahlen Dritte Front
ছবি: Sajjad HussainAFP/Getty Images

সামহয়্যার ইন ব্লগে মিজানুর রহমান মিলনের পোস্টের শিরোনাম: ‘‘ভারতের লোকসভা নির্বাচন, মোদি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা৷'' শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে মিলন লিখেছেন, ‘‘ভারতের জনগণ গুজরাট হত্যাকাণ্ডে মোদির জড়িত থাকাকে আর আমলে নিচ্ছেন না, বরং তাঁরা গুজরাটে মোদি যে উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি করেছেন ও অর্থনীতিকে যে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন, মোদির সেই কৃতিত্ব পুরো ভারতবাসীর জন্য প্রযোজ্য হতে পারে বলে অধিকাংশ ভারতবাসী মনে করছে৷ এক্ষেত্রে ভারতবাসী অতীত নয়, ভবিষ্যৎকেই প্রধান্য দিচ্ছে৷'' উল্লেখ্য, জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ভারতের প্রতি ১০ জন মধ্যে ছয়জন বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়৷ অন্যদিকে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় দেখতে চায় মাত্র দু'জন৷

মিলন লিখেছেন, ‘‘বিজেপি তথা মোদির জয় নিশ্চিতভাবেই দক্ষিণ এশিয়াতে চরম প্রভাব ফেলবে৷ নিঃসন্দেহে বিজেপি ভারতের অন্যতম একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি৷ সে ক্ষেত্রে ভারতসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় উগ্রবাদ নতুন মাত্রা পেতে পারে৷ ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কী মাত্রায় অবস্থান করবে তা এখন বলা যাচ্ছে না৷ ভারতে বিচ্ছিন্নতাবাদ আরো বাড়তে পারে৷ ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে৷ নরেন্দ্র মোদি এখন পর্যন্ত গুজরাট হত্যাকাণ্ডে অনুতপ্ত নন৷ তার মানে সামনে তিনি ক্ষমতায় এসে কী কী পদক্ষেপ নেন তার উপর নির্ভর করবে পরবর্তী পরিস্থিতি৷ তবে কংগ্রেসের সাথে আওয়ামী লীগের যে দহরম মহরম সম্পর্ক, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে সেই সম্পর্কে অবশ্যই একটা প্রভাব পড়বে৷ আর এগুলো নির্ভর করবে মোদির পরবর্তী পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডের উপর৷''

Flash-Galerie Parlament Indien
ভারতের সংসদ ভবনছবি: Fotolia/Thomas Köcher

এদিকে একই ব্লগে মাহমুদকলী দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ শেয়ার করেছেন৷ তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘...আমাদের সরকারি ও বিরোধী দলের কিছু পারসেপশন রয়েছে৷ কারও কারও মতে, বিজেপি নির্বাচিত হলে ভারত হয়তো এত সরাসরি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাবে না৷ আবার কারও আশঙ্কা, কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের বর্তমান সরকারের এগিয়ে নেয়া ভালো সম্পর্ক হোঁচট খাবে৷ বিশেষ করে তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে৷ সম্ভবত প্রতিবেশীদের এ রকম শঙ্কার বিষয়ে বিজেপিও সচেতন৷ তাই বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের সংসদ সদস্য তরুণ বিজয় আশ্বস্ত করেছেন যে, নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির নীতি অনুসরণ করবেন৷ এ প্রসঙ্গে দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া পত্রিকায় তিনি বলেছেন, আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করা৷ সবাই ভালো করেই জানেন, চীন ও পাকিস্তানসহ আমাদের সব প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো ছিল বাজপেয়ি সরকারের আমলে৷ তিনি তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তির বিষয়েও ইতিবাচক কথা বলেছেন৷ বর্তমান বিরোধিতার বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, বিজেপি চুক্তিগুলোর বিরোধী নয়, বরং যে প্রক্রিয়ায় এসব তাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে, তারা তার বিরোধিতা করছেন৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য