লোকপাল নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে জোর তৎপরতা
২৪ আগস্ট ২০১১দুর্নীতি ইস্যুতে অচলাবস্থা কাটাতে দিল্লির রামলীলা ময়দানে আন্নার অনশনের নবম দিনে বরফ গলতে শুরু করেছে৷ লোকপাল বিল নিয়ে সরকার ও আন্না দলের দ্বিতীয় বৈঠকের পর আন্না দল তাদের জন লোকপাল বিলের নতুন খসড়া দিয়েছে সরকারকে৷ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বাসভবনে সর্ব দলীয় বৈঠকে সেই খসড়া নিয়ে আলোচনা হয় একটা রাজনৈতিক সহমত গড়ে তুলতে৷ নতুন খসড়ার তিনটি ধারা নিয়ে মতভেদ রয়ে গেছে৷ নীচু তলার আমলাদের বিলে অন্তর্ভুক্তি, প্রতিটি রাজ্যের জন্য লোকায়ুক্ত গঠন এবং প্রতিটি সরকারি বিভাগের জন্য নাগরিক সনদ৷ অর্থাৎ কোন কাজ যদি একটি নির্দ্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে না করা হয়, তাহলে ঐ দপ্তরকে তার জবাবদিহি করতে হবে ৷
বৈঠকে সরকারের তরফে আন্নার জন লোকপাল বিলটি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানোর কথা বলা হয় এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনের ভার দেয়া হয় ঐ কমিটিকে৷
আন্নার দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে সংসদের প্রাক্তন স্পিকার বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, দুর্নীতি দূর করা অবশ্যই দরকার কিন্তু যে পন্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং যা বলা হচ্ছে যে, একটা আইন পাশ করালেই দুর্নীতি দূর হয়ে যাবে তা আমি মনে করিনা৷ তাছাড়া এমন পন্থা অবলম্বন করা উচিত নয়, যেটা সংসদীয় গণতন্ত্রের যে কাঠামো আছে তা ক্ষুন্ন হয়৷ দেশের যে সজীব সংবিধান আছে তার পরিপন্থী হয়৷ এরপর একটা সর্বনাশা দাবি উঠতে পারে, যা কিছু হবে তা ঠিক হবে মাঠে ময়দানে, সংসদের ভেতরে নয়৷
আন্নার আন্দোলনের পেছনে যে বিপুল জন সমর্থন সেটাকে কী অস্বীকার করা যায় ? উত্তরে সোমনাথবাবু বলেন, ১২০ কোটি লোকের দেশে কত লোক জমা হয়েছে ? ধরে নিলাম ১০০ কোটি৷ তাহলে সেই ১০০কোটি লোকের প্রতিনিধিত্ব করবেন কে ? আন্নার মত আরেকজন যদি ২০ লাখ লোক জড়ো করে যদি বলেন, আমার মতই চলবে, তাহলে?
এই প্রসঙ্গে প্রচার মাধ্যমগুলিকে এক হাত নিতে ছাড়েননি সোমনাথ চটেটোপাধ্যায়৷ দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যদি একাধিক মত থাকে, সেক্ষেত্রে মিডিয়া যেটিকে তুলে ধরবে সেটাই গ্রহণযোগ্য মত তা মানা যায়না৷
এদিকে আন্নার স্বাস্থ্যের অবনতিতে প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে অনশন ভঙ্গের জন্য আবেদন করেন
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক