1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা

১৬ মার্চ ২০২০

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ অনেক দেশই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে বাংলাদেশ অনেক দিক থেকেই আলাদা, তাই শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ ও তাদের অভিভাবকেরা যে নতুন সংকটে পড়বেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

https://p.dw.com/p/3ZWaE
ছবি: CDP, Bangladesch, Klimawandel, Coastal Development Partnership, Schule, Kinder, Unterricht

বিশেষ করে ছোট-বড় সব স্কুলপড়ুয়াকে ঘরে রাখা যে কঠিন হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ কী আছে ঘরে? অবসর বিনোদনের কী ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে? কম্পিউটারের সামনে পড়ে থাকার ব্যবস্থা? তা-ই বা কত শতাংশ স্কুলপড়ুয়ার ঘরে আছে? তাছাড়া লম্বা সময় ধরে কম্পিউটারের সামনে থাকাও তো স্বাস্থ্যের জন্য, মননের জন্য ভালো নয়৷ ক্যারম, দাবা, লুডু, বাগাডুলি, টেবিল টেনিসের মতো ঘরের ভেতরে খেলার উপযোগী খেলার সুযোগ এবং চর্চা কোনোটাই প্রায় নেই বললেই চলে৷

তাহলে?

৩১ মার্চ পর্যন্ত ঘরে কীভাবে সময় কাটাবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা? মা-বাবা কীভাবে ঘরে রাখবেন তাদের?

প্রশ্নগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, করোনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে শিক্ষার্থীরা যাতে ভিড় এড়াতে পারে সে কারণেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷

স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেক বেশি, কারণ, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা সেই পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনেক বেশি সচেতনতা আশা করা যায়৷ সেই তুলনায় স্কুল, মাদ্রাসার ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের বয়স এবং সচেতনতা স্বাভাবিক অবস্থায় অনেক কম৷

এমন নয় যে এই সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশের৷ জার্মানিসহ ইউরোপ এবং ইউরোপের বাইরের অনেক দেশেই এখন স্কুল বন্ধ৷ এসব দেশের মধ্যে অনেকগুলোতেই ঘরে বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে৷ তারপরও কিছু শিক্ষার্থীর মাঝে করোনার কারণে পাওয়া ছুটি ঘরের বাইরে কাটানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷

Ashish Chakraborty
আশীষ চক্রবর্ত্তী, ডয়চে ভেলেছবি: DW/T. Mehedi

এই প্রবণতা বাস্তবিক কারণেই বাংলাদেশে যে অনেক বেশি হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

এই মুহূর্তে ঘরে ঘরে বিনোদনের ব্যবস্থা করা বা কারো পক্ষে করে দেয়া তো সম্ভব নয়৷ তাই বই পড়ায় সবাইকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ খুব দরকার৷ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই সময়ে করোনা এবং বিনোদন ও শিক্ষামূলক ভিডিও প্রচারের বিশেষ উদ্যোগও নিতে পারে৷

এছাড়া সবার সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদার করাও জরুরি৷ নইলে অনেক অভিভাবক সন্তানকে নিয়ে বেড়ানোর পরিকল্পনাও করতে পারেন৷ তাতেও বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়াবে৷