1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংস্কারের পথে গ্রিস

২৩ জুলাই ২০১৫

গ্রিসের সরকার চাপে পড়ে দ্বিতীয় দফার সংস্কার কর্মসূচি সংসদে অনুমোদন করিয়ে নিয়েছে৷ আর তাই সে দেশের গতি-প্রকৃতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং জার্মান সংবাদমাধ্যমও বেশ সরব হয়ে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/1G3ZV
Griechenland Tsipras mit Putzfrauen des Finanzministeriums
ছবি: Getty Images/AFP/L. Gouliamaki

দলের মধ্যে বিরোধীদের দাপট কমিয়ে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস বুধবার রাতে দ্বিতীয় দফার সংস্কার কর্মসূচি সংসদে অনুমোদন করিয়ে নিলেন৷ এর ফলে গ্রিস আন্তর্জাতিক দাতাদের আস্থা অনেকটা ফিরে পেল বলে মনে করছে অনেক মহল৷ তৃতীয় দফার সাহায্য কর্মসূচির সম্ভাবনাও সেইসঙ্গে বেড়ে চলেছে৷

গ্রিসের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ইয়ানিস ভারুফাকিস-এর মতিগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হলগার চেপিৎস৷ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, যে ভারুফাকিস প্রকাশ্যে সংস্কারের বিরুদ্ধে তর্জন-গর্জন করলেও সংসদে প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন৷

ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কঠিন পদক্ষেপ বটে, কিন্তু এর ফলে বাজেটের জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব বাড়াতে দ্রুত ও হাতেনাতে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন স্লোভাকিয়ার অর্থমন্ত্রী পেটার কাশিমিয়র৷

এসলিং ডনোহু টুইটারে তাঁর বার্তায় লিখেছেন, ইউরো এলাকার করদাতারা নিঃশর্তে গ্রিসকে দান করে যাক এবং সেটা না করার জন্য তাদেরকেই দায়ী করা হোক – তিনি এই মনোভাবের বিরোধিতা করেন৷

বিয়েওন স্যাং ওন একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে মনে করিয়ে দিয়েছেন, গ্রিস এশিয়ার সংকট থেকে কী ভাবে শিক্ষা নিতে পারে৷

গ্রিসের প্রতি কড়া অবস্থানের জন্য জার্মানি সম্প্রতি প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ জার্মানির ‘স্যুডডয়চে সাইটুং' তার পরিপ্রেক্ষিতে এক বৃহত্তর প্রেক্ষাপটের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং তার একক মুদ্রার ভিত্তিই হলো স্থিতিশীলতা, সংহতি এবং সমানাধিকার – বর্তমান উত্তপ্ত বিতর্কের সময়ে এমনকি নাম করা অর্থনীতিবিদরাও বিষয়টি ভুলে যাচ্ছেন৷ জার্মানি তথা ইউরোপের বিরুদ্ধে গ্রিসের প্রতি সংহতির অভাবের অভিযোগ তোলা হচ্ছে৷ অথচ ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের ইইউ বাজেটে এক ট্রিলিয়ন ইউরো দুর্বল অঞ্চলগুলির উন্নয়ন ও অন্যান্য সংহতিমূলক কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে৷ অতীত এবং বর্তমানে অনেক দেশ তার সুফল ভোগ করেছে এবং করছে৷ পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড ও ইটালির তুলনায় গ্রিস অনেক সহজ শর্তে ঋণ পেয়েছে৷ সবাই যেটা ভুলে যাচ্ছে, সেটা হলো ২০১৪ সালের শেষ পর্যন্ত গ্রিস সংস্কারের পথে এগিয়ে অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করতে পেরেছিল৷ কাজেই গ্রিসকে নতজানু করানো বা সে দেশের আত্মসম্মান বোধের ক্ষতির অভিযোগ যারা করছে, তাদের মনে রাখা উচিত, যে সংস্কার চালিয়ে গ্রিস শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠলে সে দেশেরই লাভ হবে৷ ইউরোপীয় ভাবাদর্শ অনুযায়ী গ্রিস আবার সমানাধিকারের ভিত্তিতে বাকি দেশগুলির সঙ্গে এক আসনে বসতে পারবে – লিখেছে ‘স্যুডডয়চে সাইটুং'৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য