অগ্নিনিরাপত্তায় বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয় মাত্র ত্রিশ টাকা
২৩ এপ্রিল ২০১৯সম্প্রতি বাংলাদেশে পরপর বড় দুটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে৷ চকবাজারের আগুনে ৮১ জনের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঘটে বনানীর এফআর টাওয়ার ট্র্যাজেডি৷ দুটি ঘটনাতেই দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন আগুন নেভাতে৷ সাহসিকতার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতাও চালিয়েছেন তাঁরা৷
এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন এক ফায়ার র্সাভিস কর্মী৷ পরে সিঙ্গাপুর নেয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি৷ তাঁর মৃত্যু নাড়া দিয়েছে গোটা দেশের মানুষকেই৷
দুর্ঘটনায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন ফায়ার সার্ভিসের র্কমীরা৷ কিন্তু সেই সঙ্গে অগ্নির্নিবাপন কিংবা বড় দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এই বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷
সংস্থাটির পেছনে সরকারের যে ব্যয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম৷ অন্যদিকে বছর বছর দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে, যার কারণে স্বল্প লোকবল আর অপ্রতুল যন্ত্রপাতি নিয়েই উদ্ধার তৎপরতা চালাতে হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে৷
১০ বছরে ১৪৯০ জনের প্রাণহানি
দেশে প্রতিবছরই অগ্নিদুর্ঘটনা বাড়ছে৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ৷ বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০০৯ সালে সারা দেশে ১২ হাজার ১৮২ টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে৷ এতে আনুমানিক প্রায় ৩০৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল৷ এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১৮ জন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭ জন৷ উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে সে বছর ফায়ার সার্ভিসের ১৮৩ জন কর্মীও আহত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ জন৷
২০১৮ সালে ১৯ হাজার ৬৪২ টি অগ্নি দুর্ঘটনার খবর পেয়েছে সংস্থাটি৷ এতে ১৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন ৬৬৪ জন, যার মধ্যে ১৩ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীও ছিলেন৷ গত বছর অগ্নি দুর্ঘটনায় দেশে আনুমানিক ৩৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স৷
স্বভাবতই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে ঢাকা বিভাগে৷ ২০১৮ সালে এই অঞ্চলে ৬ হাজার ২০৮ টি অগ্নি দুর্ঘটনার হিসাব দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস৷ এতে ১৬৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রংপুর বিভাগ৷ ৩ হাজার ৪০১ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে৷ চট্টগ্রাম বিভাগে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬১৪ টি৷
সব মিলিয়ে গেল দশ বছরে মোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৮ টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে৷ ১ হাজার ৪৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৪১ জন, অর্থাৎ, প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৫০ জনই মারা যাচ্ছেন আগুনের কারণে৷ এসব দুর্ঘটনায় ৪২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ৮৮ হাজার ৬১৮ কোটি টাকার মূল্যের সম্পত্তি দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারও করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা৷
দুর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে মানুষের ‘অসচেতনতাকে' দায়ী করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ৷ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গ্রামেগঞ্জেও এখন ইলেকট্রনিক্সের দোকান বাড়ছে৷ প্রচুর ফ্রিজ কেনা হচ্ছে, তা সংযোগ দেয়া হচ্ছে লো কোয়ালিটি ওয়্যারের সাথে৷ এগুলোর জন্য ব্যক্তিগত সচেতনতা দরকার৷ বাজারে কোয়ালিটি জিনিসপত্র দরকার৷ সেই সঙ্গে রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনের ইমপ্লিমেন্ট দরকার৷''
ফায়ার সার্ভিসে সরকারের বরাদ্দ
সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে দায়িত্ব পালন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর৷ মন্ত্রণালয়ের যে বাহিনীগুলো রয়েছে, তার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরই বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কম৷
চলতি অর্থবছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের অধীনে মোট ২৪,৭৭৭ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে৷ বরাবরই এই অর্থের বড় একটা অংশ খরচ হয় বাংলাদেশ পুলিশের পেছনে৷ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে এই বাহিনীর মোট বাজেট ছিল ১২ হাজার ৯৪ কোটি টাকা৷
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেয়েছে ৫০০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা৷ অবশ্য গত বছর এই বরাদ্দ ছিল আরো কম, ৪৫২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা৷
মাথাপিছু ব্যয় ৩০ টাকা
বছর বছর প্রাণহানি আর সম্পত্তির বড় অঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে অগ্নি দুর্ঘটনাতে৷ কিন্তু তা মোকাবেলায় সরকার যে ব্যয় করে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার জন৷ দুর্যোগ, দুর্ঘটনা থেকে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় বাজেটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০০.৮৭ কোটি টাকা৷ অর্থাৎ অগ্নিকাণ্ডসহ সব ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় মাথাপিছু বার্ষিক মাত্র ৩০ টাকা ব্যয় করছে সরকার৷
এই ব্যয় কতটা কম তা বোঝা যাবে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে৷ ধরা যাক নরওয়ের কথা৷ ওইসিডি স্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মাত্র ৫৩ লাখ নাগরিকের জন্য অগ্নি নিরাপত্তায় দেশটির বাজেট ছিল ৭৭৭ কোটি ৬০ নরওয়েজিয়ান ক্রোনা, অর্থাৎ ৯১ কোটি ৮১ লাখ ডলারের বেশি৷ সে হিসেবে মাথাপিছু তাদের বরাদ্দ ছিল ১৭২ ডলার করে৷ ওইসিডি স্ট্যাটের পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখা যাচ্ছে, জাপান মাথাপিছু ব্যয় করছে ১৩৪ ডলার৷ অন্যদিকে ফ্রান্স ১০৪ ডলার, জার্মানি ১০৭ ডলার, সুইডেন ১০২ ডলার, সুইজারল্যান্ড ৯৭ ডলার ও যুক্তরাজ্য বছরে মাথাপিছু ৫৮ ডলার ব্যয় করে জনগণের অগ্নি নিরাপত্তায়৷ সেখানে বাংলাদেশ ব্যয় করছে মাত্র ৩৬ সেন্ট করে৷
অর্থের অভাবে অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স৷ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খানও মনে করেন, চাহিদার তুলনায় বাহিনীর বাজেট যথেষ্ট নয়৷
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সারাদেশে ফায়ার সার্ভিসের মোট ৯ টি ল্যাডার রয়েছে, তার মধ্যে ৬টি ঢাকাতে৷ ঢাকাসহ সারাদেশেই এখন এমন যন্ত্রপাতি আরো প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷ ‘‘শুধু ঢাকাতে না, ঢাকার আশেপাশে হাই রাইজ বিল্ডিং রয়েছে, সেহেতু ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে এগুলোর প্রয়োজন রয়েছে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন আলী আহমেদ খান৷
জনবল ও ফায়ার স্টেশন সংকট
দশ বছর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোট জনবল ছিল ৪ হাজারের মতো, তা এখন প্রায় এগারো হাজারের কাছাকাছি বলে জানান বাহিনীর পরিচালক শাকিল নেওয়াজ৷ তারপরও দেশের প্রতি লাখ মানুষের বিপরীতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৬ জনে৷
এইক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের তুলনা দিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান বলেন, আধুনিক শহরগুলোতে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীর অনুপাত হয় ১ অনুপাত ২৷ ‘‘অর্থাৎ দেশের দুইজন পুলিশ থাকলে ফায়ার ফাইটার থাকবে একজন৷ ঢাকায় ৩৬ হাজারের মতো পুলিশ আছে, সেখানে ফায়ার সার্ভিসে লোক আছে মাত্র ৬০০-র মতো৷''
এই স্বল্প জনবল নিয়ে কীভাবে দায়িত্ব পালন করছে ফায়ার সার্ভিস– এমন প্রশ্নে পরিচালক শাকিল বলেন, ‘‘মিরাকলি উই আর ডুয়িং দ্য জব৷ পাখি ধরা থেকে শুরু করে হাজব্যান্ড ওয়াইফ মারামারি করলে, গরু পড়লে পরে, হাতি পড়লে পরে– সব কাজই আমি করি৷''
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সংখ্যা ২৫ হাজারে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি৷ ‘‘আর লোক নিলেও তা এখনই কাজে লাগানো যাবে না৷ প্রচুর প্রশিক্ষণের উদ্যোগ দিতে হবে৷ এজন্য সময়ের প্রয়োজন,'' বলেন শাকিল৷
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৪৬০টি ফায়ার স্টেশন থাকলেও সেটাকে অপ্রতুলই বলছেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা৷ স্টেশনগুলোর দূরত্ব বেশি হওয়ায় সময়মতো ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না জানিয়ে সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘‘এই রেসপন্স টাইম কমাতে হবে৷ এজন্য ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি৷''
সংস্কার প্রয়োজন
অবিভক্ত ভারতে ফায়ার সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৩৯-৪০ সালে৷ আঞ্চলিক পর্যায়ে কলকাতা শহরের জন্য কলকাতা ফায়ার সার্ভিস এবং কলকাতার বাইরে অবিভক্ত বাংলায় বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সৃষ্টি করে ব্রিটিশরা৷ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসকে পূর্ব পাকিস্তান ফায়ার সার্ভিস নামে অভিহিত করা হয়৷ ১৯৫১ সালে আইনি প্রক্রিয়ায় সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গঠন করা হয়৷
‘‘১৯৮২ সালে তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর, সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্ধার পরিদপ্তর–এই তিনটি পরিদপ্তরের সমন্বয়ে বর্তমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরটি গঠিত হয়,'' উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে৷
এখন সংস্থাটিকে পুনর্গঠন করার সময় এসেছে বলে মনে করেন সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান৷ ‘‘অনেকদিনের পুরনো প্রতিষ্ঠান যেহেতু, এটাকে অর্গানাইজড ওয়েতে ডেভেলপমেন্টের একটা সুযোগ রয়েছে৷ এজন্য টোটাল একটা রিফর্ম দরকার, যার মাধ্যমে (এই বাহিনী) মানুষের লাইফ সেফটি হিসেবে কাজ করবে৷ দ্বিতীয়ত, এনফোর্সমেন্ট পাওয়ারকে স্ট্রং করতে হবে, যেখানে আলাদা সেফটি উইং থাকবে, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থাকবে, যারা প্রফেশনালি কাজ করবে এবং কমপ্লায়েন্সটা এনশিওর করবে,'' বলেন তিনি৷
‘স্পেশাল ফায়ার সার্ভিস রেসকিউ ফোর্স' গঠনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলার পরামর্শ দেন আলী আহমেদ৷ এখন থেকে এসব উদ্যোগ নিলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় বাহিনীটি সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি৷
শুধু ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়িয়ে ‘লাভ নেই'
ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা না বাড়িয়ে কেবল ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক করলেই অত বেশি উপকার হবে না বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিস পরিচালক এবং বিশেষজ্ঞরা৷
‘‘ফায়ার সার্ভিসকে যদি সুপার-ডুপারও বানান, কোনো লাভ নেই যতদিন না ব্যক্তি পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ানো হবে৷ ইনডিভিজুয়্যাল ক্যাপাসিটি না বাড়িয়ে আমার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা রিডিক্যুলাস,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন মেজর শাকিল৷
‘‘অমার যে সক্ষমতা আছে তার সাথে বাকি লোকের সক্ষমতা না থাকলে তো হবে না৷ একটা ডিজাস্টার মোকাবেলা করতে হলে ফোর লেভেলের পার্টিসিপেশন দরকার৷ ইনডিভিজুয়্যাল, নেইবারহুড, পাবলিক প্রাইভেট এবং গভর্নমেন্ট লেভেল৷ আমার ক্যাপাসিটি আছে কিন্তু বাকি তিনটা না থাকলে কী করা যাবে৷''
বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, পৃথিবীর সব শহরে আগুন নেভানোর জন্য ওয়াটার হাইড্র্যান্ট সিস্টেম থাকে, যা ঢাকা শহরে নেই৷ এজন্য ফায়ার ফাইটারদের সমস্যায় পড়তে হয়৷ পাশাপাশি রাস্তার যানজটের কারণেও সংস্থাটি তার সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারে না৷
তিনি মনে করেন, এককভাবে ফায়ার সার্ভিসের উপর দায়িত্ব দিয়েই অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবেলা সম্ভব নয় ৷ ‘‘বড় বড় ভবনগুলোতে নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে৷ ফাস্ট এইড, ফায়ার ফাইটিং, পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগবে৷ মানুষের মধ্যে এই সচেতনতাটি তৈরি করতে হবে,'' বলেন মাকসুদ হেলালী৷