অনলাইন কুকি আইন কার্যকর করছে ইইউ
৯ এপ্রিল ২০১১কুকি অথবা ওয়েব কুকি, অথবা ব্রাউজার কুকি, এইচটিটিপি কুকি৷ ওয়েব ব্রাউজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কম্প্যুটারে যে বার্তাটি জমিয়ে রাখে, তাই হল কুকি৷ ব্যবহারকারী যে কম্প্যুটার অথবা ওয়েবসাইটেই যাক না কেন, সেখানে তার পায়ের চিহ্নর মতো কুকিরা পড়ে থাকে৷ ইইউ'এর চিন্তা হল, ওয়েব ব্রাউজার যে এই সব ছোট ছোট তথ্য সংগ্রহ করে, এবং যা সব অনলাইন ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে বিজ্ঞাপনদাতাদের জানতে সাহায্য করে - তা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গ করে কিনা৷
কাজেই ইইউ'এর নতুন নির্দেশ অনুযায়ী ২৫শে মে'র মধ্যে সব ওয়েবসাইটকে যাবতীয় কুকির জন্য ব্যবহারকারীর স্পষ্ট অনুমতি নিতে হবে৷ কিন্তু এই নির্দেশ কিভাবে কার্যকরি হবে এবং তা বলবৎ করা হবে, তা নিয়ে এখনও নানা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷ বর্তমানে কুকিদের মাধ্যমে কি পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা জানা শক্ত, কেননা অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জানা নেই, তাদের ওয়েব ব্রাউজার যখন কুকিগুলোকে ডাউনলোড করছে, তখন কোন তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে অথবা তা কোথায় পাঠানো হচ্ছে৷
অথচ এই ট্র্যাকিং'এর ফলেই কেউ সার্ফ করার সময় তার সাইডবারে কি উঠে আসবে, সেটা নির্ভর করে৷ ব্যবহারকারীর প্রোফাইল অনুযায়ী তাকে পণ্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ ইউরোপিয়ান ডিজিটাল রাইটস ইনিশিয়েটিভের জো ম্যাকনামি ডয়চে ভেলেকে জানান, এ সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন৷ এমনকি এর প্রভাবই বা কী রকম হবে - তাও জানেন না অনেকে৷ তবে ইউরোপীয় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নীতি খুবই স্পষ্ট : কোনো ব্যক্তির পূর্বানুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করা চলবে না৷ কাজেই ওয়েবসাইটদের এবার তাদের ডাটা ট্র্যাকিং'কে আরো বেশি স্বচ্ছ করতে হবে, এবং ব্যবহারকারীদের আরো নির্বাচনের স্বাধীনতা দিতে হবে৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা / অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ