1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনৈতিক মন্দায় ভারত, বলছে আরবিআই রিপোর্ট

১২ নভেম্বর ২০২০

'টেকনিক্যাল অর্থনৈতিক মন্দা'য় ঢুকে পড়েছে ভারত। সম্প্রতি আরবিআইয়ের একটি রিপোর্টে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3lAuG
ছবি: Manish Kumar

অর্থনৈতিক ভাবে আরো বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে ভারত। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট তথ্য জানা যাবে নভেম্বর মাসের শেষে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে ভারতীয় জিডিপি আরো আট দশমিক ছয় শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছে। যার অর্থ 'টেকনিক্যাল অর্থনৈতিক মন্দা'য় ঢুকে পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। এর আগে জুলাই মাসের কোয়ার্টারে ভারতীয় জিডিপির সর্বকালীন পতন ঘটেছিল। প্রায় ২৪ শতাংশ নেমে গিয়েছিল জিডিপি। তবে সে সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দু'জনেই বলেছিলেন, করোনা এবং লকডাউনের কারণেই এই পতন ঘটেছে। আগামী কোয়ার্টারেই তার থেকে উন্নতি হবে ভারতীয় জিডিপির। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্টে ভিন্ন ইঙ্গিত মিলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর এবং মানিটারি পলিসির প্রধান মিশেল পাত্র। তাঁর নেতৃত্বেই একটি কমিটি সাম্প্রতিক রিপোর্টটি পেশ করেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বরের কোয়ার্টারে ভারতীয় অর্থনীতির আরো আট দশমিক ছয় শতাংশ পতন হয়েছে। ওই রিপোর্টেই বলা হয়ছে যে, ভারত অভূতপূর্ব রিসেশন বা অর্থনৈতিক মন্দার কবলে ঢুকে গিয়েছে। এর আগে ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বব্যাপী মন্দার সময়েও ভারতীয় অর্থনীতি সার্বিক ভাবে মন্দার কবলে ঢোকেনি। কিন্তু করোনা কালে তা আর বাঁচানো গেল না।

ভারতীয় অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিরোধীরা। কিন্তু সরকার কখনোই তা স্বীকার করতে চায়নি। জুন জুলাই মাসে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের জিডিপি-ই নিম্নমুখী হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরেও দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশগুলি। ভারতের জিডিপির রেকর্ড পতন হয়েছিল। ২৪ শতাংশ। কিন্তু তখনো সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, লকডাউন উঠে গেলে সমস্ত কাজকর্ম আবার আগের মতো শুরু হলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। জুলাই-অগাস্ট মাস থেকে অধিকাংশ লকডাউন প্রায় উঠে গিয়েছে। কিন্তু তার পরের কোয়ার্টারেও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। নভেম্বরের শেষ অধ্যায়ে এ বিষয়ে সরকার তথ্য প্রকাশ করতে পারে।

বস্তুত, মন্দা যত বাড়ছে, জিনিসপত্রের দামও তত ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, খাদ্যদ্রব্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। তার মধ্যে জিডিপির আরো পতন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। চাকরির বাজারেও পরিস্থিতি ভয়াবহ। লকডাউনের পরেও চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ। এখনো বহু চাকরিতে সম্পূর্ণ বেতন মিলছে না।

স্বাভাবিক ভাবেই, সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে দুশ্চিন্তায় অর্থনীতিবিদদের একাংশ। এর আগেই ডয়চে ভেলেকে সাবেক অর্থ কমিশনের এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, ভারতীয় অর্থনীতির ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত পতন হতে পারে। এবং সরকার যে নীতি নিয়ে চলছে, তাতে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বহু সময় লেগে যেতে পারে।

এসজি/জিএইচ (ব্লুমবার্গ)