অস্ট্রিয়ায় শিশুদের হিজাব নিষিদ্ধ?
৫ এপ্রিল ২০১৮মুসলিম মহিলারা সাধারণত বয়ঃসন্ধি থেকেমাথা আবৃত রাখার রীতি অনুসরণ করেন৷ কিন্তু অস্ট্রিয়ায় মুসলিম শিশুদের মধ্যেও হিজাব করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ তাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই প্রবণতা রুখতে চায় অস্ট্রিয়া৷ আগামী গ্রীষ্মে যে শিশু সুরক্ষা আইন আসতে চলেছে, তাতে মাথা আবৃত করার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুৎর্স৷ ওআরএফ রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ১০ থেকে ১২ বছর বয়স অবধি মেয়েদের মধ্যে হিজাব পরা বা মাথায় স্কার্ফ পরার চল নিষিদ্ধ করা হবে৷
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কুৎর্স বলেন, অস্ট্রিয়ায় সমান্তরাল সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে চেষ্টা চলছে, তাকে রুখতে হবে৷ ‘হেডস্কার্ফ' বা হিজাবের ব্যবহার মূল সংস্কৃতির কাছে হুমকিসরূপ৷ জোটসঙ্গী ফ্রিডম পার্টির প্রধান, ভাইস চ্যান্সেলর হাইনৎস-ক্রিস্টিয়ান স্ক্রাখের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে কুৎর্স বলেন, কয়েক দশক আগেও এটা ভাবা যেত না৷ এখন ভিয়েনা এবং বিভিন্ন জায়গায় এ সব দেখা যাচ্ছে৷ তবে কতজন ছাত্রী এমন স্কার্ফ মাথায় দিচ্ছে, এটার উল্লেখ কেউই করেননি৷
দেশের প্রধান মুসলিম সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে যে, এটা উদ্বেগের৷ বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর আগে সাধারণত মুসলিম মেয়েরা ‘হেডস্কার্ফ' পরেন না৷ তবে সরকারের এই আইন মুসলিম সমাজে অস্থিরতা তৈরি করছে৷ তাঁরা প্রশ্ন তুলছে, খ্রিষ্টানদের ক্রস আর ইহুদিদের টুপি ‘কিপা'-র ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না কেন? সরকারের মুসলিমদের শত্রু হিসেবে দেখানোর এই সিদ্ধান্তে ধর্মপ্রাণ এবং ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিমরা খুবই চিন্তিত৷
অস্ট্রিয়ায় শিশু সুরক্ষা আইন পাশ করতে গেলে সংসদে দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন দরকার৷ আর এ জন্য দেশের ছোট দু'টি পার্টির সমর্থন লাগবে সরকারের৷
গত বছর স্কুল, আদালত এবং অন্যান্য জনসমক্ষে পুরো মুখ ঢাকার আবরণ নিষিদ্ধ করে অস্ট্রিয়া৷ পুলিশ অফিসার, বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেটরাও যাতে হিজাব করতে না পারেন, তেমন আইনও ইতিমধ্যে চালু হয়েছে দেশটিতে৷ তবে শিক্ষিকাদের হিজাব করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আপাতত মুলতবি রাখা হয়েছে৷
পিএস/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)
এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কী? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷