অ্যাপলের নতুন ‘আইওএস’
১১ জুন ২০১৩অ্যাপল তাদের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ‘আইওএস' এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করেছে৷ ২০০৭ সালে আইফোনের সঙ্গে এই অপারেটিং সিস্টেম বাজারে এনে গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল প্রতিষ্ঠানটি৷ কিন্তু এরপর আইওএসে তেমন বড় কোন পরিবর্তন আনতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি৷ সর্বশেষ সোমবার রাতে প্রকাশ করা নতুন সংস্করণে যেসব ফিচার যোগ হয়েছে, তা নাকি আগে থেকেই রয়েছে গুগলের! অ্যান্ড্রয়েডসহ অ্যাপলের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সিস্টেমে৷
সোমবার তাই অ্যাপল সিইও টিম কুকের নতুন ঘোষণা ভক্তদের মধ্যে তেমন একটা উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করতে পারেনি৷ এমনকি গত বছর কুক আইপ্যাড মিনি প্রকাশ করে যেমন সাড়া ফেলেছিলেন, এবার তেমনটাও হয়নি৷
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাধারণ ভোক্তারা আসলে এখনো নতুন সফটওয়্যারের চেয়ে নতুন হার্ডওয়্যার পরীক্ষায় আগ্রহী বেশি৷ আর এটাও অস্বীকারের উপায় নেই ২০১১ সালে স্টিভ জবসের অকাল প্রয়াণের পর নতুন ধারা সৃষ্টির মতো কোন পণ্যও বাজারে ছাড়তে পারেনি অ্যাপল৷ সবমিলিয়ে তাই অ্যাপল ভক্তরা বেশ হতাশ৷
প্রশ্ন আসতে পারে, নতুন আইওএস এর সঙ্গে অন্যান্য মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের মিল ঠিক কোথায়? জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, নতুন অপারেটিং সিস্টেমের ডিজাইনের সঙ্গে ২০১০ সালে বাজারে আনা উইন্ডোজ ফোনের ডিজাইনের মিল রয়েছে৷ পাশাপাশি অ্যাপলের নতুন মাল্টিটাস্কিং ফাংশনের সঙ্গে অনেকেই পাম ওএস এর মিল খুঁজে পাচ্ছেন৷ এমনকি ফোন লক থাকা অবস্থায় নোটিফিকেশন দেখার যে ব্যবস্থা আইওএসে যোগ হয়েছে, তা এইচটিসি ব্যবহারকারীরা পেয়েছেন বহু আগেই৷
প্রযুক্তি ব্লগ গিগাওম এর লেখক কেভিন সি টোফেল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আইওএস ৭ দেখে আমি এটা বলতে বাধ্য হচ্ছি, অ্যান্ড্রয়েড, এইচটিসি, মাইক্রোসফট এমনকি পাম এর সঙ্গে এটির ডিজাইনে অনেকক্ষেত্রে মিল রয়েছে৷''
সোমবার রাতে অ্যাপল আরো একটি ঘোষণা দিয়েছে৷ আইটিউনসে রেডিও স্ট্রিমিং মিডিয়া সার্ভিস চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি৷ কিন্তু এটাও কি নতুন কিছু? মোটেই না, এক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হচ্ছে গেমস কনসোল প্যানডোরা৷
তাহলে সান ফ্রান্সিসকোতে অ্যাপল নতুন কী দিলো? নাকি জবসের মৃত্যুর সঙ্গেই হারিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটির নতুন ধারা সৃষ্টির ক্ষমতাও? এসব প্রশ্ন এখন অনেকের মনে৷
এআই / এসবি (ডিপিএ)