আইএস-এর বিরুদ্ধে এবার অনলাইন-যুদ্ধ শুরুর তাগিদ
২৮ অক্টোবর ২০১৪বেশ কিছু উদ্যোগ সত্ত্বেও গত কয়েকদিনে সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইএস-এর বিরুদ্ধে বড় কোনো সাফল্য আসেনি৷ ইরাক এবং সিরিয়ার বেশ বড় একটি অংশ এখনো আইএস-এর দখলে৷ সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর কোবানিতে এখনো চলছে তুমুল যুদ্ধ৷ তার ওপর এখানে-ওখানে চলছে আত্মঘাতী হামলা৷ সোমবার বাগদাদে এক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৮ জন মারা গেছেন৷ ইরাকের রাজধানী শহরটিতে একই দিনে আরেক আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন সেনাসদস্য৷
ওদিকে কুর্দিরা তুরস্ক থেকে গিয়ে সিরিয়ার কোবানিতে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেবে এবং এর ফলে সেখানকার পরিস্থিতি বদলাবে বলে ধারণা করা হলেও এখনো তেমন কিছু হয়নি৷ শহরটি দখল করে নেয়ার জন্য এখনো তুমুল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে আইএস৷ তুরস্ক থেকে এখনো পেশমেরগা বাহিনীর কুর্দিরা সেখানে যায়নি৷ এ জন্য তুরস্ক সরকারকেই দায়ী করেছেন কুর্দি নেতা মুস্তাফুজ কাদের৷ বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি জানান, তুর্কি সরকার তুরস্কের ভূমি ব্যবহার করে কুর্দিদের কোবানিতে যাওয়ার সুযোগ দিতে রাজি হলেও সেই সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর হয়নি৷
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার পশ্চিমা ও আরব মিত্ররা অবশ্য আইএস-কে প্রতিহত করতে নিজস্ব পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সেনা দপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রবি এবং সোমবার কোবানিতে চারবার এবং ইরাকে সাতবার বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে৷
কিন্তু গত ৮ আগস্ট থেকে আইএস-এর বিরুদ্ধে হামলা শুরু করলেও এখনো বড় কোনো সাফল্য পায়নি যুক্তরাষ্ট্র৷ পেন্টাগন জানিয়েছে, এ হামলায় প্রতিদিন গড়ে ৮৩ লাখ ডলার খরচ হচ্ছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক বাজেট-বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রকৃত ব্যয় তার চেয়ে অনেক বেশি৷
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বিশেষ তত্ত্বাবধান এবং বিপুল ব্যয় সত্ত্বেও আইএস-এর বিরুদ্ধে এখনো বড় কোনো সাফল্য না আসার কারণ কী? জেনারেল জন অ্যালেন মনে করেন, প্রচারে এগিয়ে থাকার কারণেই যুদ্ধক্ষেত্রেও আইএস অপ্রতিহত৷ যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, আইএস অনলাইনে সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে নিরীহ অনেক মানুষের কাছ থেকেও সাড়া পাচ্ছে৷ তাই তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা যদি অনলাইনেও আইএস (আইসিস বা আইসিল)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করি, তরুণদের প্রতি তারা যেসব কথা বলে যুদ্ধে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে সেসবের অসারতা যদি বুঝিয়ে বলি, তাহলেই সত্যিকার অর্থে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে হারানো যাবে৷''
এসিবি/ডিজি (এএফপি)