আধুনিক যুগের শিল্প
৪ অক্টোবর ২০১৬কেন মারফি-র সৃষ্টির নাম ‘আকাশের ইতিহাস'৷ এক বছর ধরে তিনি প্রতি ১০ সেকেন্ড অন্তর ছবি তুলে গেছেন৷ সেই সব ফ্রেমের কল্যাণে পর্দায় দিন দ্রুত শেষ হচ্ছে৷ আবার ছন্দের পরিবর্তনের ফলে সময় সম্পর্কে আমাদের বোধশক্তিতে কীভাবে বিঘ্ন ঘটছে, তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেখাতে চান করিম ফারাহ৷
এই যেমন, একটি আপাত সাধারণ ভিডিও ইনস্টলেশন নিউটন-এর ‘থার্ড ল অফ মোশন' সূত্রকে ফুটিয়ে তোলে৷ প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে – এই তত্ত্বটি স্লো মোশন রিপ্লে-র সাহায্যে দৃশ্যমান করে তোলা হয়৷ তাতে বল বা শক্তির মাত্রা স্পষ্ট হয়ে যায়৷
ভিডিও শিল্পী নেনাড পপফ-এর বিশেষ ল্যাবেএকটি জীব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং খেতে চাইছে৷ আর ভিডিও প্রোজেকশন দেখিয়ে দিচ্ছে, সেটি কীভাবে আকারে-আয়তনে বেড়ে চলেছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে যে পরিবর্তন হচ্ছে, এই ইনস্টলেশনে তা সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা যায়৷ ছবি অথবা শব্দের মাধ্যমে আমরা তা টের পাই৷''
বলা বাহুল্য প্রাণীটি খাবার হজম করে, বেড়ে ওঠে৷ সেন্সর সেই পরিবর্তন পরিমাপ করে তা সাউন্ডে পরিণত করে৷ নেনাড জানান, ‘‘এই জীবের নাম ফিসারাম পলিসেফালাম৷ এটা ছত্রাক ও অ্যামিবার মাঝামাঝি এক রূপ৷''
অন্যদিকে ‘ওয়াচফুলনেস – লাইফ ইন দ্য মোমেন্ট' নামের ইনস্টলেশন আর্টটি আসলে জীবনেরই প্রতিফলন৷ কোনো বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মুক্তির স্বাদ তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য৷ এর সেন্সর ধ্যানের সময় মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিমাপ করে এবং মনিটারের পর্দায় পরিবর্তনগুলি ফুটিয়ে তোলে৷ শরীর থেকে এই ‘ভিশুয়াল ফিডব্যাক' শরীর-মন শিথিল করতে কয়েক গুণ সাহায্য করে৷ স্ট্রেস সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বার্লিনের ‘শারিটে' হাসপাতালের স্নায়ু-মনস্তত্ববিদরা মেডিটেশনের এই পদ্ধতির কদর করেন৷
বার্লিন আইসেক্ট প্রকল্প মানুষের বোধশক্তির সীমা নিয়ে গবেষণা করছে৷ প্রযুক্তি আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত মুহূর্তের প্রতি আস্থা নষ্ট করে দিচ্ছে৷ দিব্যচক্ষুর গুরুত্ব বাড়ছে৷ এটা এক শেখার প্রক্রিয়া৷ আজকাল তো নর্তকীরাও ওরিয়েন্টেশন খুঁজছে৷ প্রশ্ন হলো, আমরা কীভাবে বিজ্ঞানীদের কাজের ফলের মূল্যায়ন করবো – যখন টাইম ও স্পেস-এর মধ্যে বিভাজন আসলে এক মরীচিকা?