‘আবার রমরমা ব্যবসা হবে'
১৮ ডিসেম্বর ২০১৪প্রথম আলো পত্রিকা জানিয়েছে শিগগিরই জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসতে পারে৷ তাঁরা তেল ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরবনের কী ধরনের ক্ষতি হলো, তা মোকাবিলায় কী করা যেতে পারে, তা নির্ধারণ করবে৷ প্রাথমিকভাবে তারা পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে একটি গবেষণা করে সরকারকে এ ব্যাপারে সুপারিশ দেবে৷
এ প্রসঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারী সিরাজুল হোসেন লিখেছেন, ‘‘... ক্লাইমেট ব্যবসায়ীরা কয়েক বছর থেকে বেঁচে খাচ্ছে সুন্দরবন৷ টুর ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ী সবারই সুন্দরবন থেকে লাভ বাড়ছেই৷ সরকার তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে কয়েক গুন, কিনছে সাবমেরিন৷....জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে৷ এবার দাতা আসবে, প্রজেক্ট হবে, আবার রমরমা ব্যবসা৷ ততদিন ভোদড়, মাছরাঙ্গা, মাডস্কিপাররা তেল খাও – মিটিগেশন শেখ, পারলে বিবর্তিত হও৷''
এদিকে, তেল দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে সম্প্রতি সুন্দরবন ঘুরে এসেছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সাংবাদিক সুলতানা রহমান৷ সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখিত ‘সুন্দরবনে দুর্যোগ এবং আমাদের সাংবাদিকতা' শীর্ষক একটি প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘‘... সুন্দরবন ঘুরে রিপোর্টার হিসেবে আমি হতাশ৷ কারণ -তিনটি কাঁকড়া, একটা ছাগল, একটা গরু, একটা মুরগি ছাড়া মৃত কোনো প্রাণী দেখিনি৷ কাঁকড়া ফার্নেস তেলের কারণে মারা যেতে পারে, কিন্তু নদীর পানিতে ভেসে আসা গরু, ছাগল, মুরগির মৃতদেহ অস্বাভাবিক বা তেলের কারণে মরেছে এমনটি বলা মুশকিল৷''
দুর্ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তেল আশপাশের পুকুরের পানিতেও মিশে গেছে৷ ফলে স্থানীয়রা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই রান্না, খাওয়া, গোসলসহ নিত্যদিনের কাজে দূষিত পানি ব্যবহার করছেন৷
তিন-চার বছর আগে ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল করতো৷ সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনার পর এই চ্যানেল উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু বর্তমানে হাঁটু পরিমাণ জল থাকা ঘষিয়াখালী চ্যানেলকে কি আদৌ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিনা – তা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ