আইএস-এর উপর হামলা
১৪ এপ্রিল ২০১৭ক'দিন আগেও ‘জিবিইউ-৪৩' অথবা ‘এমসি-১৩০' শব্দগুলি সাধারণ মানুষের কাছে দুর্বোধ্য ছিল৷ গত কয়েক ঘণ্টায় সবাই জেনে গেছে যে, প্রথমটি একটি বোমা, দ্বিতীয়টি এক সামরিক বিমানের নাম, যেখান থেকে বোমাটি ফেলা হয়৷ ১১ টন বিস্ফোরকসহ ৯,৭৯৭ কিলোগ্রাম ওজনের এই বোমা সবচেয়ে বড় ‘অ-পারমাণবিক' অস্ত্র হিসেবে পরিচিত৷ তার ডাকনাম ‘দ্য মাদার অফ অল বম্বস'৷ ২০০৩ সালে এই অস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম কোনো সংঘাতের সময়ে এই বোমা প্রয়োগ করল৷ সুড়ঙ্গ ধ্বংসের কাজে এই বোমা অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে পরিচিত৷
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে নাঙ্গারহার প্রদেশে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের শক্তি বেড়ে চলেছে৷ পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আচিন জেলায় পাহাড়ের গুহা ও সুড়ঙ্গের এক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা যাতায়াত করে আসছিল৷ তাদের গতিবিধি বন্ধ করতে এমন মারাত্মক বোমা প্রয়োগ করলো মার্কিন সামরিক বাহিনী৷ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নাঙ্গারহার প্রদেশে আইএস-এর বিরুদ্ধে অভিযানে এক মার্কিন সৈন্য নিহত হয়৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অভিযানকে অত্যন্ত সফল হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ তবে এই বোমা হামলার ফলে আইএস-এর কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ ট্রাম্প প্রশাসন এই হামলাকে তাদের দৃঢ় সংকল্পের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে৷ তবে আফগানিস্তান সংক্রান্ত সার্বিক নীতির কোনো রূপরেখা এখনো তুলে ধরা হয়নি৷
সিরিয়া ও ইরাকে কোণঠাসা আইএস আফগানিস্তানে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তালেবানের সঙ্গে তাদের সংঘাতের ঘটনাও ঘটেছে৷ তবে মার্কিন সূত্র অনুযায়ী, ২০১৬ সালের শুরুতে তাদের প্রায় ৩,০০০ যোদ্ধা থাকলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা কমে ৬০০ থেকে ৮০০-য় দাঁড়িয়েছে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)