1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘আমরা এখন উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত''

১০ আগস্ট ২০১৫

একের পর এক ব্লগার হত্যা এবং হত্যাকারীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী তথা সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারকারীরা৷

https://p.dw.com/p/1GCmv
Bangladesch Politische Gewalt Polizisten in Dhaka
ছবি: AFP/Getty Images/M. Uz Zaman

ইশতিয়াক রউফ তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দল হিসেবে বর্তমান আওয়ামী লীগের একটি ব্যবচ্ছেদ করার চেষ্টা করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, এখন ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেটা বিএনপি আমলে হলে আওয়ামী লীগ তীব্র আন্দোলন করতো৷ কিন্তু তারাই এখন নিজেরাই ক্ষমতায় থাকায় কিছু করছে না৷ ‘‘গত বছর কয়েক ধরে বিএনপি-জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকের অন্তরঙ্গ আলাপের অডিও ফাঁস হয়েছে, যেটা থেকে বুঝা যায় যে ঘরে ঘরে ফোনালাপ শুনছে বিভিন্ন ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী'৷ অথচ এই বিষয়ের (ব্লগারর হত্যা) কোনো হিসাব-হদিস-আলামত নাই৷ এত এত অতিরিক্ত, অনৈতিক, এবং দূরপ্রসারী ক্ষমতা থাকার পরেও কোনো কিছু করতে না পারার দায় এককভাবে আওয়ামী লীগের উপর বর্তায়৷ তারা এই প্রসঙ্গে প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ তো নেনই নাই, এমন কি রাজনৈতিকভাবেও এর বিরুদ্ধে কিছু বলেন নাই৷ এই হাঁটুভাঙা, ভীতু, আধা-সাম্প্রদায়িক দলটা এত বছরের পরিচিত আওয়ামী লীগ না'', লিখেছেন রউফ৷

অন্য একটি স্ট্যাটাসে তিনি সচলায়তন ব্লগে প্রকাশিত হওয়া একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ দীর্ঘ ঐ ব্লগপোস্টের একটি অংশ তিনি স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন যেখানে লিখা আছে, ‘‘এক ভয়ংকর অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ৷ এই অন্ধকারের খবর সবার আগে জেনে গেছে দেশের নবীন কিছু লেখক, কিছু ব্লগাররা৷ যে কারণে কিছু বোঝার আগেই এই যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইনে চলে এসেছে তারা৷ প্রতিবাদী দর্শক থেকে নিজের অজান্তেই সৈনিক হয়ে গেছে৷''

শওগাত আলী সাগর ক্ষোভ মিশ্রিত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন৷ হত্যাকারীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা নিয়ে যারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘‘...আপনি যত খুশি আহাজারি করতে পারেন, রাগে ক্ষোভে নিজের মাথার চুল ছিড়তে পারেন৷ তাতে কার কি আসে যায়! আপনি তো আর কারো কিছু ছিড়তে পারবেন না৷ সেটি করতে গেলে কিন্তু আইন আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে৷ রাষ্ট্র আর সরকারের অবস্থান তো রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন অনেক আগেই৷ আপনি বুঝতে না পারলে সেটি আপনার ব্যর্থতা৷ গণতন্ত্রের চেয়েও উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ, সেটি তো আপনি মেনেই নিয়েছেন৷ এখন কয়েক ডজন ব্লগার নামের ‘নাস্তিকের' জীবনের চেয়েও উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ – এই বাণীকেও মেনে নিন৷ খামোখা উন্নয়নে বাগড়া দেবেন না৷ এইসব হত্যাটত্যা জাতীয় ঠুনকো বিষয় নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না৷ তার চেয়ে উন্নয়নের কোরাস গাইতে থাকেন৷ আমরা এখন উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত, আমাদের বিরক্ত করবেন না৷''

এদিকে, সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইসলাম বা অন্য কোনো ধর্মের ব্যাপারে কেউ কটূক্তি কিংবা সীমালঙ্ঘন করে থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সাজার ব্যবস্থা করা হবে৷ আজম খান সংবাদটি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘কোন দেশে জন্মাইলামরে ভাই৷ যেই দেশে লেখা আর খুন সমান মাপের অপরাধ৷ যারা খুন করতেছে তাদের না ধইরা যারা খুন হইতেছে তাদের ধরা হবে৷ ক্ষমতায় থাকার জন্য এইটারে খোমেনীর দেশ বানাইতে হইলেও আওয়ামী লীগ তাই বানাবে৷ আদর্শ কোনো বিষয় না৷ ক্ষমতাটাই আসল৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য