1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ নাগরিকরা ব্রিটেনেই থাকবেন?

২৩ জুন ২০১৭

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে সুর নরম করলেন৷ তিনি ব্রিটেনে বসবাসরত ইইউ নাগরিক ও ইউরোপে ব্রিটিশ নাগরিকদের সমানাধিকারের প্রস্তাব দিলেন৷

https://p.dw.com/p/2fEAC
ছবি: Reuters/G. Fuentes

নির্বাচনের আগের ঔদ্ধত্য, কড়া মনোভাব, কঠিন মুখচ্ছবি ছেড়ে একেবারে অন্য এক রূপে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে৷ ব্রেক্সিট গণভোটের প্রায় এক বছর পর অনেক কিছু বদলে গেছে৷ ‘হার্ড ব্রেক্সিট' বা ইইউ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছেদের অঙ্গীকার করার মতো ক্ষমতা তিনি হারিয়েছেন৷ বাকিদের উপর ব্রিটেনের একার আবদার চাপিয়ে দেওয়ার শক্তিও তাঁর নেই৷ বিভিন্ন মহলের চাপের মুখে তিনি সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছেন৷

ইইউ-র সঙ্গে বিচ্ছেদের পাশাপাশি দুই পক্ষের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে সমান্তরাল আলোচনার দাবি করে আসছিলেন টেরেসা মে৷ কিন্তু ইইউ সবার আগে বিচ্ছেদের বিষয়টি চূড়ান্ত করার বিষয়ে অটল৷ বিশেষ করে ব্রিটেনে বসবাসরত প্রায় ৩০ লক্ষ ইইউ নাগরিক ও ইইউ দেশগুলিতে বসবাসরত প্রায় ১০ লক্ষ ব্রিটিশ নাগরিকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্ট অবস্থান চাইছিল ব্রাসেলস৷ এই অবস্থায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব, ইইউ নাগরিকরা স্বচ্ছন্দে ব্রিটেনে বসবাস করতে পারেন, ব্রিটিশ নাগরিকরাও যেন ইউরোপে একই অধিকার পান৷ এমনকি ইইউ নাগরিকরা চাইলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে পারেন৷ তবে কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা থেকে যেতে পারে৷

ইউরোপীয় কমিশন এখনো এই প্রস্তাব সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি৷ তবে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, সূচনা ভালোই হয়েছে৷ তবে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে৷ যেমন ব্রিটেনের বকেয়া অর্থ হিসাব করতে হবে৷ আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তের বিষয়টিরও বোঝাপড়া করতে হবে৷

লন্ডনে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি দপ্তরকে সরিয়ে আনার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ভোটাভুটির মাধ্যমে এই দুই দপ্তরের নতুন অবস্থান স্থির করা হবে৷

চ্যান্সেলর ম্যার্কেল এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ব্রেক্সিট আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হলেও ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে আরও অনেক জরুরি বিষয় রয়েছে৷ ২৭টি সদস্য দেশের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে আরও সমন্বয়ের উদ্যোগ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, এতকাল ব্রিটেন প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয়ে বাধা সৃষ্টি করে আসছিল৷ সন্ত্রাসবাদ দমন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, মুক্ত বাণিজ্য, কর্মসংস্থান, শরণার্থী সংকট ইত্যাদি বিষয়ও এবারের সম্মেলনে আলোচিত হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য