ইন্দোনেশিয়ায় বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিতর্ক
১২ মার্চ ২০১৫ইন্দোনেশিয়ায় মাদক সংক্রান্ত অপরাধের চরম শাস্তি মৃত্যুদণ্ড৷ বিদেশিদের ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যতিক্রম মানতে নারাজ সে দেশের সরকার৷ তাই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকারের কোনো সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না৷ তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার তারিখ বার বার পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ সামগ্রিকভাবে মৃত্যুদণ্ডের উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ তাছাড়া এই মুহূর্তে যে বিতর্ক চলছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে লাভ-লোকসান নিয়েও তর্ক-বিতর্ক চলছে ইন্দোনেশিয়ায়৷
মৃত্যুদণ্ডের আসামিরা এখনো বেঁচে আছেন৷ তাই আশার আলো দেখছেন মেলবোর্ন শহরের সাংবাদিক লরেল আরভিং৷ তাঁর মতে, তাদের পরিবারের জন্য এটা সুখবর৷
ব্লগার মতিউর রহমান টুইটারে লিখেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের সেরা দেশ, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই৷''
ইন্দোনেশিয়ার সরকারের মত বদলের জন্য আবেদন শোনা যাচ্ছে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে৷ শিল্পপতি রিচার্ড ব্র্যানসন সরাসরি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে এই মর্মে চিঠি লিখেছেন৷
সাংবাদিক জুয়েল টপসফিল্ড জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আগামী সপ্তাহান্তে সিডনি শহরে ‘ক্যান্ডেললাইট ভিজিল' অনুষ্ঠিত হবে৷
এই বিতর্কে অনেকের কণ্ঠে কিছুটা ভিন্ন সুরও শোনা যাচ্ছে৷ যেমন শেন ক্লেবর্ন লিখেছেন, ‘‘গোটা বিশ্ব যখন ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটা রাজ্যে ফায়ারিং স্কোয়াড আবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷''
ফ্রিডোলিন সিমবোলোন নামের এক টুইটার ব্যবহারকারীর মতে, অবিলম্বে মাদক অপরাধীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা উচিত৷
অস্ট্রেলিয়ার কিম্বারলি মারেল লিখেছেন, ‘‘দুই মাদক পাচারকারীর জন্য করদাতাদের অর্থ ব্যয় না করে অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের জন্য আরও রিহ্যাব সেন্টার খুললে কেমন হয়?
দেশে-বিদেশে নৃশংস আচরণের দৃষ্টান্ত হিসেবে লরি কিড তাঁর টুইটে একটি ব্যঙ্গচিত্র তুলে ধরেছেন৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ