ইরাকি কুর্দিস্তানে জার্মান সৈন্য
২৮ আগস্ট ২০১৪এরবিল শহরের জার্মান দূতাবাস থেকে ছয়জন জার্মান সৈন্য মানবিক ও সামরিক সাহায্য সমন্বয়ের কাজ চালাবেন৷ তবে তাঁরা কোনো সশস্ত্র অভিযানে অংশ নেবেন না, যেমনটা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল শুরু থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ ম্যার্কেল আইসিস জঙ্গিদের কার্যকলাপকে ‘গণহত্যা' হিসেবে দেখেন এবং তা বন্ধ করতে অস্ত্র পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করছেন৷ জার্মানিতে কুর্দিদের জন্য অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে৷ সপ্তাহান্তেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার৷
তারপর সোমবার জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে৷ বলা বাহুল্য, সেখানে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সরকার তার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করতে পারবে৷ তবে কিছু অস্ত্র যে পাঠানো হবে, সে বিষয়টা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ জার্মানির দুই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সংগঠনও কুর্দিদের অস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷
নিজেদের পুরানো শত্রুতা ভুলে কট্টরপন্থি সুন্নি আইসিস জঙ্গিদের মোকাবিলায় ইরাকি কুর্দিস্তানের পাশে দাঁড়াচ্ছে অ্যামেরিকা থেকে ইরানের মতো দেশ৷ মার্কিন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মোট সাতটি দেশ কুর্দি পেশমারগা বাহিনীকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে৷ তারা হলো আলবেনিয়া, ব্রিটেন, ক্যানাডা, ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, ফ্রান্স ও ইটালি৷ আরও দেশ এগিয়ে আসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল৷ বাগদাদে ইরাকের সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ উদ্দেশ্য, দক্ষিণে ইরাকি সেনাবাহিনী ও উত্তরে কুর্দি বাহিনী যাতে সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে ইসলামি জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে পারে৷
এদিকে কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বলেছেন, ইরান প্রায় সবার আগে কুর্দিদের অস্ত্র সরবরাহ করতে শুরু করেছে৷ এরবিল শহরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জরিফের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বারজানি এ কথা বলেন৷ জরিফ বলেন, তাঁর দেশ ইরাকে কোনো সৈন্য পাঠাচ্ছে না৷ তবে ইরাকের ফেডারেল সরকার ও কুর্দিস্তান প্রশাসনকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে তেহরান৷ তিনি ইরাকের ঐক্য ও অখণ্ডতার প্রতি ইরানের সমর্থন প্রকাশ করেন৷ তিনি আরও বলেন, ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ইরান তার নিজস্ব নিরাপত্তা হিসেবে গণ্য করে৷ তাঁর মতে, আইসিস জঙ্গিদের তৎপরতা শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও বড় হুমকি৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)