আমি পরজীবী নই: হ্যোনেস
১১ মার্চ ২০১৪জার্মানির ফুটবলের উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখায় দীর্ঘদিন ধরে তারকার মর্যাদাই পেয়ে এসেছেন বায়ার্ন মিউনিখ ‘বস' এবং সাবেক ফুটবলার হ্যোনেস৷ জার্মানিকে ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ১৯৭৪ সালে, ম্যানেজার হিসেবে দু-দুবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন, বায়ার্ন মিউনিখকে, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়ে খোলনলচে বদলে বায়ার্নকে করেছেন আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ এবং সাফল্যের দিক থেকে সাম্প্রতিক সময়ের সেরা – তাঁকে শ্রদ্ধা না করে পারা যায়?
কিন্তু কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সরব সমালোচক এবং নিন্দাকারীরও অভাব হচ্ছে না তাঁর৷ সোমবার মামলার চারদিনের শুনানির প্রথম দিনে আদালতে হাজির হয়ে সে কথা নিজেই বলেছেন ৬২ বছর বয়সি হ্যোনেস৷ গত বছর কর ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি স্বপ্রণোদিতভাবে জানানোর পরও তাঁকে গ্রেপ্তার করায় গভীর হতাশা ব্যক্ত করে তিনি জানান, তারপর তাঁকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে, তাঁর পরিবারকেও বিপর্যস্ত করেছে এ ঘটনা৷
২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে এক কোটি ইউরোর বকেয়া কর পরিশোধ পরিশোধ করেন হ্যোনেস৷ কর পরিশোধ করার পর দাবি করেছিলেন, সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে অঘোষিত আয়ের যে টাকা জমা করেছেন সে তথ্য জানাতেই তিনি এ ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ জার্মানিতে কর ফাঁকি দেয়ার কথা কেউ অভিযুক্ত হওয়ার আগে নিজেই জানালে শুধু কর পরিশোধ করলেই চলে, তাঁর আর কোনো জেল-জরিমানা হয় না৷ কিন্তু হ্যোনেস শাস্তি এড়াতে পারবেন কিনা – তা এ মুহূর্তে বলা মুশকিল৷ তবে বায়ার্ন সমর্থকরা এখনো তাঁর পক্ষে৷ সোমবার আদালতে মামলার শুনানি চলার সময়ও হ্যোনেসকে সমর্থন এবং তাঁকে ক্ষমা করার দাবি জানাতে আদালত প্রাঙ্গনে হাজির হয়েছিলেন কয়েকশ বায়ার্ন সমর্থক৷
গত বছর উলি হ্যোনেসকে ৩৫ লক্ষ ইউরো কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়৷ সচরাচর আদালতে অভিযুক্তকে অভিযোগ অস্বীকার করতে দেখা গেলেও ক্ষমা পাওয়ার আশায় হ্যোনেস তা করেননি৷ বরং অভিযোগে উল্লেখিত অঙ্কের চেয়ে পাঁচ গুনেরও বেশি, অর্থাৎ এক কোটি পঁচাশি লক্ষ ইউরো কর ফাঁকি দেয়ার কথা জানিয়ে আদালতে উপস্থিত সবাইকে চমকে দিয়েছেন৷ বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘স্ব উদ্যোগে অপরাধ স্বীকার করে আমি শাস্তি এড়াতে চেয়েছিলাম৷ সব কিছু (আলোচনার ) টেবিলে রাখতে পেরে আমি খুশি৷''
জার্মানির আইন অনুযায়ী, দশ লক্ষ ইউরোর চেয়ে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধীর পাঁচ থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে৷ হ্যোনেসের কী হবে তা জানতে আরো অপেক্ষা করতে হবে৷ মামলার শুনানি শেষ হবে আগামী বৃহস্পতিবার৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)