‘নির্বাচন বৈধতা পাবেনা'
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারো বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলেছে৷ বলেছে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার কথা৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বার বার তাগিদ দেয়া হচ্ছে৷ রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য এবং শন্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়৷
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন একতরফা হলে তারা নির্বাচনের সময় কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবেনা৷ তারা সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়বে৷ বিশেষ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হতে পারে৷ আর জাতিসংঘ মহাসচিবের টেলিফোন আলাপের সর্বশেষ অবস্থা কী, তাও হয়তো জানাতে হবে৷ কারণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশের নির্বাচনকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে৷
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, হয়তো সরকার নানা কথার মারপ্যাঁচে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপকে একরকম উপেক্ষা করে যাচ্ছে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই অবস্থা নাও থাকতে পারে৷ কারণ এর আগে বার বার আন্তর্জাতিক চাপকে উপেক্ষার চেষ্টা করেও সফলতা হওয়া যায়নি৷ তিনি বলেন ১৯৯৬ সালের ১৫F ফেব্রুয়ারি বিএনপি একতরফা নির্বাচন করেছিল আন্তর্জাতিক চাপকে উপেক্ষা করে৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এক মাসের মাথায় আবার নতুন করে নির্বাচন দিতে হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷ ওয়ান ইলেভেনের আগেও একইভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা হয়েছে৷ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি৷
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যতই দূরত্ব থাকুক শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ চাপে তাদের মধ্যে সমঝোতা হবে৷ তবে কোনো পর্যায়ে গিয়ে সমঝোতা হবে তা বলা কঠিন৷