1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কঠোর লকডাউনে জার্মানি

১৩ ডিসেম্বর ২০২০

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকার৷ আগামী বুধবার থেকে বন্ধ থাকবে দোকানপাট, স্কুল ও ডে কেয়ার সেন্টার৷

https://p.dw.com/p/3meG1
বুধবার থেকে দেশব্যাপী কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা জার্মানরছবি: Thomas Lohnes/Getty Images

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল দেশের রাজ্যপ্রধানদের সাথে বৈঠকের পর রোববার এ ঘোষণা দেন৷ আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ নতুন বিধি জানুয়ারির ১০ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে৷

শীতের শুরু থেকে ইউরোপের দেশটিতে করোনার প্রাদুর্ভাব আবারো বাড়ছে৷ এ কারণে অক্টোবর মাসের শেষে দেশব্যাপী আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়৷ সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ক্রিসমাসের সময়ে তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে বিষয়ে তৎপর হয় সরকার৷

রাজ্যপ্রধানদের সাথে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে৷’’

নতুন করে আরোপ করা লকডাউনের আওতায়:

  • কম গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাট ও সেবাপ্রদান যেমন সেলুন বন্ধ থাকবে৷
  • স্কুল বন্ধ থাকবে৷ তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার কথা বলা হয়েছে৷  
  • বন্ধ থাকবে ডে-কেয়ার সেন্টার৷ তবে বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েদের দেখাশুনার জন্য বেতনসহ ছুটিতে যেতে পারবেন৷                                                                                                                                                     
  • ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কর্মীদের বাসা থেকে অফিস করার জন্য উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে৷
  • উন্মুক্তস্থানে অ্যলকোহল পান করা যাবে না৷
  • স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে উপাসনালয় চালু রাখার অনুমতি রয়েছে৷ তবে দলগতভাবে ধর্মীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত কাজগুলো করা যাবে না৷ 
  • রাজ্য সরকারগুলো চাইলে ক্রিসমাস উদযাপনের জন্য ডিসেম্বরের ২৪ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন বিধি কিছুটা শিথিল করতে পারে৷ সেক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি তার সরাসরি সম্পর্কিত আত্মীয়দের পরিবার থেকে সর্বোচ্চ চারজনকে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ করতে পারবেন৷ সঙ্গে ১৫ বছরের নীচে শিশুদেরও আমন্ত্রণ করা যাবে৷
  • নতুন বছর উদযাপনে পটকা ব্যবহার করা যাবে না৷

জার্মানিতে শনিবার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৪৩৮ জন৷ এদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৯৬ জন মারা যান৷ হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা৷ দেশের কোন কোন এলাকায় হাসপাতালের আইসিইউগুলো প্রায় ভর্তি হয়ে আছে৷

অ্যালেক্স বেরি/আরআর