1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি প্রক্রিয়া প্রশ্নের মুখে

২৫ জুন ২০১৩

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে অ্যামেরিকা তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও হিংসা বন্ধ হচ্ছে না৷ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে হামলা চালিয়েছে তালেবান৷

https://p.dw.com/p/18vRp
ছবি: Reuters

মঙ্গলবার সরাসরি কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলা চালিয়ে বসলো তালেবান৷ ভোর সাড়ে ছটা নাগাদ হামলা শুরু হয়৷ নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা হামলা চালায়৷ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে৷ অবিকল আইসাফ বাহিনীর দুটি গাড়ি নকল করে তালেবান যোদ্ধারা তাতে করে একটি চেকপোস্ট পেরিয়ে যাবার চেষ্টা করে৷ তারাও ছদ্মবেশে ছিল৷ প্রথম গাড়িটি সফল হয়৷ তবে তারপর নিরাপত্তা রক্ষীদের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল৷ সংঘর্ষ শুরু হতে দুটি গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে৷ সব হামলাকারী নিহত হয়৷ কাছেই সিআইএ দপ্তর বা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কোনো ক্ষতি হয় নি৷ সরকারি পক্ষে হতাহতেরও খবর নেই৷ শুধু এক জন রক্ষী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

২০০৮ সালের পর খোদ রাজধানীতে এত বড় আকারের হামলা দেখা যায় নি৷ সেবার প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন৷

Kabul Angriff Präsidenten-Palast Rauch
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে বিস্ফোরণের ধোঁয়াছবি: AFP/Getty Images

এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, ঠিক এই মুহূর্তেই তালেবান এমন হামলা চালালো কেন? হামলা সফল করতে যত লোকবল লাগা উচিত, সেই তুলনায় হামলাকারীদের সংখ্যাও ছিল কম, যদিও তালেবান সিআইএ-র দপ্তরে বড় হামলার দাবি করেছে৷ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাদের হামলার লক্ষ্য ছিলো বলে দাবি করেছেন তালেবান মুখপত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ৷

ফলে এই হামলাকে প্রতীকি মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক৷ এর প্রেক্ষাপটও স্পষ্ট৷ তালেবান সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় একটি দপ্তর খুলেছে৷ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগে মার্কিন প্রশাসনও তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ সোমবারই কাবুল সফরে এসেছেন মার্কিন বিশেষ দূত জেমস ডবিনস৷ কাতারে আচমকা দপ্তর খোলার বিষয়টিকেও ভালো চোখে দেখছে না মার্কিন প্রশাসন৷ ডবিনস বলেন, তালেবান আদৌ শান্তি আলোচনা চায় কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি৷

তবে হামিদ কারজাই-এর প্রশাসন এখনো তালেবানের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নে সন্দিহান৷ তার উপর কাতারে তালেবান দপ্তরে ‘ইসলামি আফগান আমিরাত' ফলকটিকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্রোধ দেখিয়েছিলেন কারজাই৷ পরে সেটি সরিয়ে ফেলা সত্ত্বেও তিনি কাতারে কোনো প্রতিনিধি পাঠান নি৷ মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের সামনে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতির বিষয়ে জানাতে চেয়েছিলেন৷ ঠিক তখনই হামলাটি ঘটে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য