আরাফাত সানির বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ
২৩ জানুয়ারি ২০১৭২০১৬ সালের মার্চের পর আর জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি আরাফাত সানি৷ এ কারণে আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনামে আসার সুযোগও হয়নি দেশের হয়ে ১৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক ও ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলা বাঁ হাতি এই অর্থোডক্স স্পিনারের৷ তবে রবিবার ঢাকার আমিনবাজার এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে দেশি-বিদেশি সব সংবাদমাধ্যমেই গুরুত্ব পাচ্ছে তাঁর খবর৷
গত ৫ জানুয়ারি আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন এক তরুণী৷ মামলার এজাহারে বলা হয়, সাত বছর আগে ওই তরুণীর সঙ্গে সানির প্রেম হয়৷ এরপর ২০১৪ সালে তাঁরা পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন৷ বিয়ের পর সানি তরুণীকে নিজের বাড়িতে না তুলে ভাড়া বাসায় তোলেন৷ ২১ বছর বয়সি তরুণীর অভিযোগ, তাঁকে তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়ায় সানি উল্টে ফেইসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মেসেঞ্জারে তাদের কিছু অন্তরঙ্গ ছবি পাঠান এবং নানাভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন৷ এ অভিযোগে মামলার কারণেই রবিবার পুলিশ আরাফাত সানিকে গ্রেপ্তার করে৷ গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলা সানির পরিবার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ সানির মা মনে করেন, টাকার লোভে ওই তরুণী তাঁর ছেলেকে ‘ফাঁসানোর' চেষ্টা করছেন৷
তবে অনেকেই সানিকে নির্দোষ মনে করতে পারছেন না৷ জাতীয় দলের কোনো কোনো ক্রিকেটারের মাঝে অতীতেও যে নৈতিকতাবোধ, মানবতাবোধ, সামাজিক মূল্যবোধের ঘাটতি দেখা গেছে এবং সে কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে যে মামলাও হয়েছে, সেই দৃষ্টান্তগুলো স্মরণ করে তাঁরা বরং সানির কঠোর শাস্তিই দাবি করছেন৷
সাংবাদিক গাজী নাসিরুদ্দিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘শাহাদাত ছাড়া পাইছে, আরাফাত সানিও আদালতের অপার কৃপায় ছাড়া পাইয়া যাওয়ার আশায় এইসব করার সাহস পাইছে৷''
অর্থাৎ তিনি মনে করেন, পেস বোলার শাহাদাত গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেও অর্থ এবং প্রভাব খাটিয়ে শাস্তি এড়াতে পেরেছেন বলে অন্যরাও হয়ত ভাবছেন, অপরাধ করলেও তারকাখ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে পার পাওয়া যাবে৷ আরাফাত সানিও সে কথা ভেবেই এক তরুণীর সঙ্গে কথিত আচরণ করতে পেরেছেন বলে গাজী নাসিরুদ্দিনের বিশ্বাস৷
এদিকে সোমবার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন ওই তরুণী৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম নালিশি মামলাটি আমলে নিয়ে সানির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশও দিয়েছেন৷ ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনে করা মামলায় আরাফাত সানির বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করার অভিযোগ আনা হয়৷
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ
বন্ধু, আপনার কী মনে হয়? আরাফাত সানি কি অপরাধী? যদিন হন, তাহলে তাঁর কী শাস্তি পাওয়া উচিত?