মিশরে সংকট
৩০ জানুয়ারি ২০১৩কয়েক ঘণ্টার এ সফরে নিজের সাফল্য তুলে ধরে তা দিয়েই মুরসি ইউরোপকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তবে শুধু নিজে দেশের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, দেশ চলছে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে – এসব বললেই যে অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়ে যাবেন তিনি, তা ধরে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ মিশরের প্রেসিডেন্টের এ সময় ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশ সফরের কথা ছিল৷ কিন্তু দেশে চলমান অস্থিরতার কারণে তিনি আপাতত জার্মানিতেই এলেন, তা-ও মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য৷
সংক্ষিপ্ত অথচ মিশরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এ সফরে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন মোহাম্মদ মুরসি৷ এ সাক্ষাতে তাঁর কাছ থেকে যে মিশরের বর্তমান পরিস্থিতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থান এবং সর্বোপরি দেশটির গণতন্ত্রের পথে যাত্রার প্রশ্নে তাঁর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে গিডো ভেস্টারভেলের কথায়৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এআরডি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আগেই বলে রেখেছেন, অর্থনৈতিক সহায়তা পেতে হলে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা অব্যাহত রাখার নিশ্চয়তা দিতেই হবে মিশরকে৷
মুরসি প্রেসিডেন্ট হবার কিছু দিনের মধ্যেই মিশরে শুরু হয়ে যায় সরকারবিরোধী আন্দোলন৷ সে আন্দোলনের তীব্রতা এখনো কমেনি৷ সঙ্গে গত সপ্তাহে যোগ হয়েছে গত বছরের এক ফুটবল ম্যাচের সহিংসতার কারণে আদালতের একটি রায়ের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড বিক্ষোভ৷ রায়ে ২১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত৷ সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে তিনটি শহর৷ সেই বিক্ষোভ রাজধানী কায়রোসহ মিশরের আরো কিছু শহরেও ছড়িয়ে পড়ে৷ এক পর্যায়ে পোর্ট সাঈদ, ইসমাইলিয়া ও সুয়েজ শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহর তিনটিতে একমাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন মুরসি৷ দেশের বেশ কিছু শহরে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় এ পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে৷
এ পরিস্থিতেই জার্মানিতে এসেছেন মুরসি৷ ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠক শুরুর ঠিক আগে তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, সংক্ষিপ্ত এ বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে মিশরের সম্পর্ক নিয়েও কথা হবে৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এপি,এএফপি)