কৃত্রিম মাংসের বার্গার
৫ আগস্ট ২০১৩ডাচ বিজ্ঞানী মার্ক পোস্টের গত কয়েক বছরের গবেষণার ফল এই মাংস৷ পোস্টের আশা তাঁর উদ্ভাবিত মাংস বিশ্বের খাদ্য চাহিদা মেটানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করবে৷
কয়েকটি তথ্য দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে৷ বিশ্ব খাদ্য সংস্থার ২০০৬ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, কৃষিকাজে প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান ব্যবহার জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ু দূষণ, ডিফরেস্টেশন ও বায়োডাইভারসিটি কমানোর ক্ষেত্রে ‘বড় ভূমিকা' রাখছে৷
ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বিশ্বে যত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয় তার ১৮ শতাংশের জন্য নাকি দায়ী মাংস শিল্প এবং এই মাত্রা আরো বাড়তে পারে কারণ দ্রুত উন্নয়নশীল দেশ চীন ও ভারতে মাংস খাওয়ার পরিমাণ বাড়ছে৷
জাতিসংঘের ঐ সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে মাংস উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৩৭৬ মিলিয়ন টনে৷ ১৯৯৭-১৯৯৯ সালে যেটা ছিল ২১৮ মিলিয়ন টন৷
বেশি বেশি মাংস উৎপাদন মানেই হলো বেশি বেশি পরিবেশ দূষণ৷ সুতরাং যদি কৃত্রিম মাংস উৎপাদন করে মাংসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায় তাহলে তো সেটা ভালোই হবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷
ডাচ বিজ্ঞানী পোস্ট আশা করছেন যে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিক উপায়ে কৃত্রিম মাংসের উৎপাদন শুরু করা যাবে৷
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কৃত্রিম মাংস কি আসল মাংসের স্বাদ এনে দিতে পারবে?
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)