ঘুরে আসুন বার্সেলোনা থেকে
১৫ জুন ২০১৬ব্লগার, লেখিকা আলবা ভেন্দ্রেল বার্সেলোনার এল বোর্নে অংশে যেতে খুব পছন্দ করেন, কারণ তাঁর সবচেয়ে প্রিয় গির্জাটি সেখানে অবস্থিত৷ স্থপতি বেরেঙ্গে দে মন্টেগুট ১৪ শতকে ‘সান্তা মারিয়া দেল মার' নামের এই গির্জাটি তৈরি করেন৷ বর্তমানে এটিই কাতালুনিয়ার একমাত্র কাঠামো, যা পুরোপুরি গথিক নকশা অনুযায়ী তৈরি৷ ভেন্দ্রেল বলেন, ‘‘প্রবেশপথে যে দু'জন রাজমিস্ত্রীকে দেখতে পাচ্ছেন, তারা মন্টজুইক পাহাড় থেকে ঘাড়ে করে পাথর নিয়ে এসে ‘সান্তা মারিয়া দেল মার' গির্জাটি তৈরি করেছে৷''
বার্সেলোনায় আরও আছে ‘কাসা বাত্তিও' ও ‘কাসা মিলা' – গাউডির নকশা করা দু'টি ভবন৷ আরও আছে, ইউরোপের অসাধারণ কয়েকটি স্থাপত্য নিদর্শনের একটি – ‘রেসিন্তে মডার্নিস্তা দে সান্ত পাও'৷ ১৯০২ সালে নির্মিত এই হাসপাতাল কমপ্লেক্সটি ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায়৷
হাসপাতালটির মুখপাত্র মের্সে বেলত্রান বলেন, ‘‘হাসপাতালটি এমন জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল যেখানে একসময় কিছুই ছিল না৷ তাই লোকজন এলাকাটিকে ‘ন্যাড়া পাহাড়' নামে ডাকতো৷ সে সময়কার অন্যতম উদ্ভাবনীমূলক স্থাপত্য ছিল এটি৷ বার্সেলোনার ‘আইশ্যাম্পল' এলাকার সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে তৈরি করা হয়েছিল হাসপাতালটি৷ ফলে উত্তর ও দক্ষিণ – দুই দিক থেকেই এখানে প্রবেশ সহজ ছিল৷''
ঐতিহ্যবাহী ট্রামে করে শহরের সবচেয়ে উঁচু স্থানে যাওয়া যায়৷ সেখানে ‘টিবিডাবো' নামে একটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক আছে৷ সেখানে আছে কারুসেল, ফেরিস হুইল আর মিষ্টিজাতীয় খাবার৷ আর আছে বার্সেলোনার অসাধারণ দৃশ্য৷
ভেন্দ্রেল বলেন, ‘‘বার্সেলোনায় আপনাকে একবার উঁচু, আর একবার নীচুতে নামতে হয়৷ বলতে পারেন, রোমের মতো এটিও সাত পাহাড়ের উপরে অবস্থিত৷''
তাই বার্সেলোনায় যেতে চাইলে সঙ্গে কয়েকটি আরামদায়ক জুতা নিতে ভুলবেন না৷