1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যার্কেল-পরবর্তী জমানার প্রস্তুতি

১ নভেম্বর ২০১৮

২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মান চ্যান্সেলর থাকার অঙ্গীকার করলেও আঙ্গেলা ম্যার্কেল বড় বাধার মুখে পড়তে পারেন৷ সিডিইউ দলের সম্ভাব্য শীর্ষ নেতার সঙ্গে তাঁর সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/37VFz
২০০৩ সালে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস ও আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Imago/photothek

ম্যার্কেল-পরবর্তী জমানা কেমন হতে চলেছে, তার কিছুটা আভাস বুধবারই পাওয়া গেল৷ সিডিইউ দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করতে যাঁরা আসরে নেমেছেন, তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে দল ও সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখার ইঙ্গিত উঠে এলো৷ বিশেষ করে দলের নেতা হিসেবে তাঁরা চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে কতটা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, সেই বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ কারণ, এই দুই নেতার মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলে ম্যার্কেলের পক্ষে চ্যান্সেলর হিসেবে কাজ চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷

আপাতত যাঁকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, সেই ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদের জন্য নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন৷ সবার আগে তিনি কোণঠাসা সিডিইউ দলকে পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন সূচনার ডাক দিলেন৷ বার্লিনে সাংবাদিকদের সামনে ম্যার্ৎস বলেন, ভোটাররা মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পপুলিস্ট দলগুলির প্রতি সমর্থন দেখাবেন, এমনটা হতে দেওয়া চলে না৷ ম্যার্কেলের বিরুদ্ধে এই প্রচ্ছন্ন সমালোচনার ইঙ্গিত সত্ত্বেও ম্যার্ৎস চ্যান্সেলরের সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ম্যার্কেল তাঁকে সিডিইউ সংসদীয় গোষ্ঠীর প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পর তিনি ২০০৯ সালে রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন৷ পুরানো শত্রুতা ভুলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুজনেই একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস দেখিয়েছেন ম্যার্ৎস৷

ম্যার্ৎস ম্যার্কেলের প্রতি নরম মনোভাব দেখালেও ম্যার্কেল-বিরোধী হিসেবে পরিচিত আরেক প্রার্থী ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান আবার চ্যান্সেলরের শরণার্থী নীতির সমালোচনা করলেন৷ এক সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, শরণার্থী ও অভিবাসন সংক্রান্ত নীতির কারণেই সিডিইউ তার সমর্থকদের আস্থা হারিয়েছে৷ তাঁর অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানায় সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়নি এবং ইউরোপে আগত শরণার্থীদের ইইউ সদস্য দেশগুলির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়নি৷ সেইসঙ্গে তিনি বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের উদ্দেশ্যে এই বিষয়টিকে ঘিরে বিরোধ ভুলে একসঙ্গে কাজ করার ডাক দিয়েছেন৷ মোটকথা, দলের নেতা হিসেবে স্পান ম্যার্কেলের বিরোধিতা করতে পিছপা হবেন না, এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷

ম্যার্কেল-বিরোধী এই দুই প্রার্থীর পাশাপাশি অন্য যে দুই প্রার্থীর নাম উঠে এসেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি দলের হাল ধরতে প্রস্তুত নন৷ নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আরমিন লাশেট এই মুহূর্তে সরে আসায় ম্যার্কেল শিবির কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লো৷ একমাত্র ম্যার্কেলপন্থি হিসেবে থেকে গেলেন সিডিইউ দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আনেগ্রেট ক্রাম্প কারেনবাউয়ার৷

জার্মানির দুটি পত্রিকার জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, এই তিন প্রার্থীর মধ্যে ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন৷ বিশেষ করে শিল্প-বাণিজ্য জগতে তাঁর প্রতি বিপুল সমর্থন দেখা যাচ্ছে৷ উল্লেখ্য, পেশায় আইনজীবী হলেও ম্যার্ৎস সংসদ সদস্য হিসেবে বিদায় নেবার পর একাধিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন৷ 

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)