জাতিসংঘে যাচ্ছেন না সু চি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে সু চি জাতিসংঘের বৈঠকে যাবেন না৷ মিয়ানমার সরকারে সু চির আনুষ্ঠানিক পরিচয় তিনি স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ জ টেই বলেন, প্রেসিডেন্ট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেবেন৷
সু চির জাতিসংঘে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জ টেই বলেন, ‘‘প্রথম কারণ রাখাইনে সন্ত্রাসী হামলা৷ স্টেট কাউন্সেলর (সু চি) রাখাইনের পরিস্থিতি শান্ত করার কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন৷ দ্বিতীয় কারণ, কয়েকটি এলাকায় দাঙ্গা উসকে দিচ্ছে কিছু মানুষ৷ আমরা আরও কয়েকটি এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছি৷ (সু চি জাতিসংঘে না যাওয়ার) তৃতীয় কারণ হচ্ছে, আমরা শুনতে পাচ্ছি, ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী হামলা হবে৷ আমরা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবছি৷’’
উল্লেখ্য, গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সু চি মিয়ানমার সরকারে যোগ দিয়ে গতবছরই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দিয়েছিলেন৷ সেই সময় বিশ্বনেতৃবৃন্দ তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন৷ বক্তব্যে সু চি রাখাইনে দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা জাতিগত ও ধর্মীয় ঘৃণার সমাধানের অঙ্গীকার করেছিলেন৷
এদিকে, বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে চীন আভাস দিয়েছে, তারা তাদের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মিত্র দেশের বিরুদ্ধে সমালোচনার উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে দেবে না৷
অর্ধেকের বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক
জাতিসংঘের হিসেব বলছে, ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে তিন লক্ষ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে তার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ আর ইউনিসেফ বলছে, এগারো শ'র বেশি রোহিঙ্গা শিশু অভিভাবক ছাড়াই বাংলাদেশে পৌঁছেছে৷
কমিটি গঠন
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিরাপত্তা ও জীবনমান উন্নয়নে দেয়া পরামর্শ বাস্তবায়নে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কোফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন গতমাসে এক প্রতিবেদনে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছিল৷ রোহিঙ্গাদের দেশটির নাগরিকত্ব দেয়া যায় কিনা তা-ও এই কমিটি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়৷
আল কায়েদার হুমকি
মিয়ানমারের মুসলমানদের প্রতি সমর্থন জানাতে বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আল কায়েদা৷ এক বিবৃতিতে এই জঙ্গি সংগঠনটি মিয়ানমারের মুসলমানদের ত্রাণ, অস্ত্র ও ‘সামরিক সহায়তা’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ ‘অপরাধের' জন্য মিয়ানমারকে ‘শাস্তি' দেয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে আল কায়েদা৷ সাইট মনিটরিং গ্রুপ আল কায়েদার এই বিবৃতির কথা জানিয়েছে৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...