জার্মান প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে ইতিবাচক ধারণা পেয়েছেন
৩০ নভেম্বর ২০১১আজ দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেন জার্মানির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান৷ এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরি, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, তিনবাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা৷ ছিলেন ঢাকায় জার্মানির রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েলসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা৷
গত সোবার জার্মান প্রেসিডেন্ট তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসেন ৷ সফরের শেষ দিনে আজ সকালে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌভ্রমণ করেন তিনি৷ উপভোগ করেন নদীমাতৃক বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য৷
তিন দিনের এই সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ মত বিনিময় করেছেন ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে৷ বক্তৃতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এক অনুষ্ঠানে৷ তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশর উন্নয়ন, গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, ধর্মীয় সাম্য, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরির্তন এবং ক্ষুদ্র ঋণসহ নানা বিষয় নিয়ে৷
প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ সুশীল সমাজের যাদের সঙ্গ কথা বলেছেন তাদেরই একজন মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল৷ তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে জার্মান প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত ইতিবাচক ধারণা নিয়ে গেছেন৷ প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ওপর৷ কারণ তিনি মনে করেন, তরুণরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷
তিনি বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেছেন বলে জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷
১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম কোন জার্মান রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফর করলেন৷ ছেয়াশিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিশার্জ ফন ভাইৎজেকার৷ প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ'এর পরবর্তী গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক