প্রবাসে সফল যাঁরা
৮ মার্চ ২০১৮জার্মানির আখেন শহরে ২০১৪ সালে নিজের চেম্বার চালু করেন ডা, রাকিব৷ এজন্য তাঁকে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করতে হয়েছে৷ ছোটবেলা থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক হবেন৷ নির্দিষ্ট কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে এই আকাঙ্খা তৈরি হয়নি৷ তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে অটল থেকেছেন৷
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষে ১৯৯০ সালে স্বামীর সঙ্গে জার্মানিতে পাড়ি জমান তিনি৷ ইউরোপের দেশটিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেননি৷ বরং আরো তিন বছর অধ্যয়ন করতে হয়েছে স্বপ্ন পূরণের জন্য৷ বর্তমানে চিকিৎসা পেশার তিনটি ক্ষেত্রে বিশেষায়িত ডিগ্রি রয়েছে তাঁর৷ শুধু স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবেই নয়, জরুরি চিকিৎসক এবং মনোবিজ্ঞানী হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর৷
গর্ভজাত সন্তানের চতুর্মাত্রিক ছবি দেখার সুযোগ রয়েছে ডা. রাকিবের চেম্বারে৷ বাংলাদেশি-জার্মান এই চিকিৎসকের উপর এখন আস্থা রাখছেন অনেক জার্মান দম্পতি৷ তবে শুরুর দিকে কেউ কেউ ‘বিদেশি’ বলে তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে অপারগতা প্রকাশ করতেন৷ কিন্তু নিজের দক্ষতায় এক পর্যায়ে তাদের আস্থা অর্জনেও সক্ষম হন বাংলাদেশি-জার্মান এই চিকিৎসক৷
তিন সন্তানের জননী ডা. রাকিবকে কখনো কখনো দিনে একশ’ রোগীও দেখতে হয়৷ তাঁর বড় মেয়ে মেডিসিনে অধ্যয়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন৷ কাজের চাপ কমাতে শীঘ্রই মেয়েকেও চেম্বারে নিয়োগ দিতে আগ্রহী এই বাংলাদেশি-জার্মান চিকিৎসক৷ তাঁর সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন আমাদের ভিডিও প্রতিবেদন৷