জার্মানিতে রেকর্ড সংক্রমণ
১৮ ডিসেম্বর ২০২০জার্মানির করোনা সংক্রমণে রেকর্ড বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৪০০। এর আগে এই পরিমাণ সংক্রমণ হয়নি জার্মানিতে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী কিছু দিনে সংক্রমণের মাত্রা আরো বাড়তে পারে। বুধবার থেকেই কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে জার্মানিতে। তা সত্ত্বেও সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তিত প্রশাসন। দ্রুত টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। তবে সেখানেও জটিলতা আছে।
করোনা ভাইরাসের প্রথম প্রথম ঢেউ ভালোভাবেই সামলাতে পেরেছিল জার্মানি। সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর জানায় প্রায় ৩০ হাজার সংক্রমণ হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। পরে সংখ্যাটি আরো বাড়ানো হয়। প্রতিটি রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে চূড়ান্ত তথ্য আপলোড করে প্রশাসন।
সংক্রমণের বৃদ্ধির হার দেখে দ্রুত টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বড়দিনের পরেই তা চালু করা হবে বলে স্থির হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ২৭ ডিসেম্বর থেকে তা চালু করা হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, টিকাকরণ শুরু হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, এমনটা বলা যাচ্ছে না। সমীক্ষা বলছে, মাত্র ৪০ শতাংশ জার্মান টিকা নিতে আগ্রহী। অধিকাংশই দ্রুত টিকা নেওয়ার বিরুদ্ধে। ৪০ শতাংশ টিকাকরণ হলে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে না। তার জন্য অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন। ৪০ শতাংশ জার্মান টিকা নিতে উৎসাহী হলেও এখনই তাঁরা তা নিতে চান না। কিছু দিন অপেক্ষা করে দেখে নিতে চান, টিকায় কোনো সমস্যা আছে কি না। ১০ শতাংশ জার্মান টিকা নিতেই চান না। এই সমীক্ষাই প্রশাসনের উদ্বেগের কারণ হয়েছে। টিকাকরণ শুরু হলেও জনগণ যদি তা না নেন, তা হলে করোনার সংক্রমণ রোধ করা মুশকিল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডা যত বাড়বে, করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনাও তত বাড়তে পারে।
অ্যামেরিকায় অবশ্য টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সপ্তাহের শেষেই টিকা নিতে পারেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে সে কথাই জানিয়েছেন ইইউ প্রধান।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)