1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির নতুন অভিবাসন আইনে যা আছে

২ মার্চ ২০২০

জার্মানিতে দশ লাখের বেশি দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে৷ এ ঘাটতি পূরণে নতুন অভিবাসন আইন করা হয়েছে, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3YkK2
Flüchtlinge als Fachkräfte
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe

নতুন আইনে যা আছে:

  • আগের আইনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ডিগ্রিধারীরা জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারতেন৷ নতুন আইনে কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের জন্যও আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে৷ তবে এই প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমপক্ষে দুই বছরের হতে হবে এবং এই ডিগ্রি জার্মান ডিগ্রির সমান বলে অনুমোদিত হতে হবে৷
  • সার্টিফিকেট ঠিক আছে কিনা তা জার্মান শ্রম মন্ত্রণালয়ের ইনফরমেশন পোর্টালে গিয়ে যাচাই করে দেখা যাবে৷ কীভাবে যাচাই করা যাবে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে ‘মেক ইট ইন জার্মানি’ ওয়েবসাইটে৷
  • তিন মাসের মধ্যে আবেদন যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় জার্মানি৷ এরপর চার সপ্তাহের মধ্যে ভিসা ইস্যু করা হবে৷
  • ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে বসবাসকারীরাও জার্মানিতে চাকরির আবেদন করতে পারবেন৷ অর্থাৎ, এক্ষেত্রে আগের চেয়ে আইন সহজ করা হয়েছে৷ কারণ, আগে জার্মানি বা ইইউর নাগরিকরা কোনো চাকরির যোগ্য না হলেই কেবল ইইউর বাইরের কেউ চাকরির আবেদন করতে পারতেন৷
  • কারিগরি শিক্ষার যে লেভেল ঠিক করা হয়েছে, তার চেয়ে কম যোগ্যরা চাকরির আবেদন করতে না পারলেও অভিবাসনের চেষ্টা করতে পারবেন৷ তবে শর্ত হচ্ছে, জার্মানির কোনো চাকরিদাতার কাছ থেকে তাঁদের চাকরির অফার পেতে হবে৷ সেক্ষেত্রে চাকরিদাতাকে আবেদনকারীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দুই বছরের মধ্যে তিনি যেন পেশাদার পর্যায়ের সার্টিফিকেট পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে৷
  • যাঁরা চাকরির সুযোগ পাবেন তাঁদের চার বছর কিংবা চাকরির মেয়াদ পর্যন্ত ভিসা দেয়া হবে৷ চার বছর পর তাঁরা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷
  • জার্মান ভাষায় ‘বি২ লেভেল' পর্যন্ত দক্ষতা ও নিজের খরচ বহনের সামর্থ্য থাকলে জার্মানিতে এসে চাকরি খোঁজার অনুমতিও পাওয়া যাবে৷
  • ৪৫ বছরের বেশি বয়সি আবেদনকারীদের মাসে কমপক্ষে ৩,৬৮৫ ইউরো আয় করতে হবে৷
  • জার্মানিতে যেসব খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব প্রকট, যেমন চিকিৎসা, তথ্যপ্রযুক্তি, নার্সিং, সেসব ক্ষেত্রে আইন একটু শিথিল করা হয়েছে৷ অর্থাৎ, আবেদনকারীর যদি অন্তত পাঁচ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে জার্মান কর্তৃপক্ষের দ্বারা সার্টিফিকেট যাচাইয়ের যে শর্ত, তার আর প্রয়োজন পড়বে না৷
  • যাঁরা চাকরি পাবেন, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের জার্মানি নিয়ে আসতে পারবেন৷ অবশ্য সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের থাকা-খাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে৷

সাবিনে কিনকার্ৎস/জেডএইচ

গত জুলাই মাসের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান