1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৭ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে চলছে চরম টানাপোড়েন৷ বিশেষ করে ঢাকা পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করার পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করেছে৷

https://p.dw.com/p/1HZer
Pakistan Islamabad Demonstrationen 16.8.2014
ছবি: Reuters

পাকিস্তান ওদিকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমি রহমানকে প্রত্যাহার করতে বলেছে কোনো কারণ ছাড়াই৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি৷'' তাঁর কথায়, ‘‘মৌসুমী রাহমানকে প্রত্যাহারের কোনো কারণ দেখাতে পারেনি পাকিস্তান৷ এভাবে কূটনীতিক প্রত্যাহার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য ভালো নয়৷''

এর আগে ২৩শে ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহার করা হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত৷ এ কথা জানা যায় একজন আটক জঙ্গির জবানবন্দি থেকে৷ নিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা কখনই কোনো ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিট ব্যবহার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে সংকটে ফেলতে পারে – এমন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেব না এবং অতীতেও দেইনি৷''

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের এই আচরণ নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ এর আগে জাল টাকা ও মাদক ব্যবসা এবং বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যের জন্য পাকিস্তানের দু'জন কূটনীতিককে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তান কখনোই বাংলাদেশবিরোধী অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি৷ বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতাদেও ফাঁসির ঘটনায় তারা তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত নেতাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান৷

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা অনেকদিন ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে আসছি৷ কারণ এই দেশটি বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান কখনোই ত্যাগ করেনি৷ তারা বাংলাদেশে এখন জঙ্গিবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে৷ জাল টাকা, মাদক চোরাচালান – এ সবও করা হচ্ছে দূতাবাসের মাধ্যমে৷''

তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না৷ তবে আমার মনে হয়, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে সরকার সেটা করছে না৷ সম্পর্ক ছিন্ন করলে সার্ক, ওআইসি ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ কিন্তু সেটা এখন আমাদের দেখার সময় নেই৷''

শাহরিয়ারর কবির

তিনি আরো বলেন, ‘‘যতি সম্পর্ক রাখতেই হয়, তাহলে পাকিস্তানকে একাত্তরের গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে৷ নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ আমাদের পাওনা ফেরত দিতে হবে৷ এছাড়া পাকিস্তানি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা সদস্যের বিচার করতে হবে৷''

ওদিকে এরইমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে৷ তবে এটা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোনো প্রভাব ফেলছে না৷ তাই শাহরিয়ারর কবির মনে করেন, ‘‘সরকারকে এখন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷''

আপনার কী মনে হয় বন্ধু৷ বাংলাদেশের কি পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান