বাংলাদেশে পাকিস্তান বিতর্ক
২ ডিসেম্বর ২০১৫নুসরাত জাহান তানহা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তান সীমা লঙ্ঘন করছে৷ দেশটি তাদের চালানো গণহত্যাকে কোনো অপরাধই মনে করেনা৷ পাকিস্তানের সাথে সকল প্রকারের সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত৷ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না৷ পাকিস্তানকে আমাদের কোনো প্রয়োজনই নেই৷ আমার মনে হয় এই ইস্যুতে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত৷''
ফকরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান ইস্যুতে সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে৷ যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত বলে আমি মনে করি৷ কারণ, পাকিস্তান যে-কোনো সময় বাংলাদেশের উপর প্রতিশোধ স্বরূপ বিষ দাঁত বসিয়ে দিতে পারে৷ ইতোমধ্যে আমরা বুঝতে পারছি পাকিস্তান স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও তাদের হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না৷''
কবির য়াহমদ জানিয়েছেন, ‘‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আমার ব্যক্তিগত ‘ব্ল্যাংকচেক' সরকারকে দিয়ে দিতেও রাজি আছি৷''
টুইটারেও দাবির কথা জানিয়েছেন অনেকে৷ যেমন রেজাউল আলম ভুঁইঞা৷
একেএম ওয়াহিদুজ্জামান লিখেছেন, ‘‘...পাকিস্তান তো এই সুযোগ হাতছাড়া করার মতো সভ্য রাষ্ট্র না৷ যেখানে ২০০২ সালে তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় কৃত অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিল, এখন মওকামত তারা চোখ উল্টে যুদ্ধাপরাধের পুরো দায়কেই অস্বীকার করে বসেছে!'' তিনি তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, শুরুতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে পাকিস্তানিদের বিচার করতে চাইলেও ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সফরের পর সেই ইচ্ছা থেকে সরে আসেন শেখ মুজিবর রহমান৷ ‘‘... পাকিস্তানিদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে শেখ মুজিব সব ভুলে গেলেন, ভুলে যেতে বললেন, ক্ষমা করে দিলেন এবং ভুট্টোকে সহযোগিতা করতে চাইলেন! উনার আগের বক্তব্যে ৩০ লক্ষ শহীদ আর ২লক্ষ নারীর সম্ভ্রমহানীর কথা আর তার মনে থাকলো না!'' ওয়াহিদুজ্জামান মনে করেন, সরকার রাজনীতির জন্য যুদ্ধাপরাধী ইস্যুকে বাঁচিয়ে রেখেছে কেবলমাত্র বিরোধী দলকে শায়েস্তা করার জন্য৷
সংকলন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন
বন্ধুরা, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে আপনার অভিমত কী? জানান নীচের ঘরে৷