পাকিস্তানের মন্তব্যের প্রতিবাদ
২৪ নভেম্বর ২০১৫ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয় স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাতে৷ এরপর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তাদের ফাঁসিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক' আখ্যা দিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ' উল্লেখ করে৷
জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে নিজস্ব কার্যালয়ে তলব করেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মিজানুর রহমান৷ সোমবার তাঁর হাতে বাংলাদেশের প্রতিবাদলিপি তুলে দেয়া হয়৷
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে অভিযুক্তদের পক্ষ নিয়ে পাকিস্তান কার্যত আবারো একাত্তরে ব্যাপক অপরাধযজ্ঞে তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ এবং সহকারিতার প্রমাণ দিয়েছে৷ এতে আরো বলা হয়েছে যে, এভাবে মন্তব্য করে দেশটি কার্যত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে যা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য৷
বাংলাদেশ মনে করে, একটি স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচার করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে কোনো রকম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না৷
৬৭ বছর বয়সি মুজাহিদকে একাত্তরে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যার ষড়যন্ত্র, নির্যাতন এবং অপহরণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ অন্যদিকে, ৬৬ বছর বয়সি চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাত্তরে নির্যাতন, ধর্ষণ এবং গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ আদালত৷ তারা উচ্চ আদালতে আপিল করলে বিচারকরা এসব রায় বহাল রাখেন৷
উল্লেখ্য, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী গত কয়েকবছর ধরে দাবি করে আসছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত৷ আন্তর্জাতিক একাধিক মানবাধিকার সংস্থাও বিচারকে ‘ত্রুটিপূর্ণ' আখ্যা দিয়েছে৷ তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ আর এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হয়েছে তিনি জামায়াত নেতার৷
এআই/এসবি (এপি, রয়টার্স)