1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শিল্প নিয়ে ভাবনা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ জুন ২০১৩

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে সংকটে পড়বে তৈরি পোশাক শিল্প৷ সে দেশে এই খাত জিএসপি সুবিধা না পেলেও তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নে৷

https://p.dw.com/p/18mF4
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত হবে এ মাসেই৷ আর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের জিএসপি সুবিধা না থাকলেও বিচলিত তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা৷ বিজিএমইএ'র সভাপতি আতিকুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক জিএসপি সুবিধা পায়৷ তারা এরইমধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কাজের পরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আলোচনাও হয়েছে৷ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা জিএসপি সুবিধা বাতিলের হুমকি দিয়েছে৷ এই অবস্থায় যদি যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাতিল করে তাহলে তা অনুসরণ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ আর মোট রপ্তানি পোশাকের ৬০ ভাগ যায় ইউরোপে৷

আতিকুল ইসলাম বলেন এখনই জিএসপি বাতিল বা স্থগিত না করে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশকে আরো বিছুটা সময় দেয়া৷ কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে সব পোশাক কারখানা নিয়ম নীতি মেনে গড়ে ওঠেনি৷ তবে এখন সব কারখানায় কাজের পরিবেশ এবং শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ চলছে৷ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে৷ আর তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেয়ার কাজও চলছে৷ এসব কাজ শেষ হতে তেমন সময় লাগবেনা৷

সিপিডি'র অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেমও মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাতিল করলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ দুই জায়গায়ই বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি সংকটে পড়বে৷ কারণ এই দুই এলাকায়ই ৯০ ভাগ পোশাক রপ্তানি হয়৷ যুক্তরাষ্ট্র পোশাকে জিএসপি সুবিধা না দিলেও অন্যান্য পণ্যে বাতিল হলে তার প্রভাব পড়বে তৈরি পোশাকে৷ আর যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে জিএসপি বাতিল করলে তা হবে অনেক বড় ক্ষতির কারণ৷ তিনি বলেন তাই সরকারে উচিত এককভাবে নয়, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বহাল রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা৷ তবে তিনি মনে করেন ভবিষ্যতে জিএসপি সুবিধা ছাড়াই তৈরি পোশাক রপ্তানির সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন৷

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ আর এখন রপ্তানির পরিমাণ বছরে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ আসে এই খাত থেকে৷ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ৷ এখানে সাড়ে ৪ হাজার পোশাক কারখানা আছে৷ এসব কারখানায় প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন৷ যাদের ৮০ ভাগই নারী৷ কম মজুরি এবং পোশাক কারখানায় আগুনসহ একের পর এক নানা দুর্ঘটনায় শত শত শ্রমিকের মৃত্যু বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে এখন প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য