1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-আবে আলোচনা

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)২৯ মে ২০১৮

বাকযুদ্ধ ও সংঘাত এড়িয়ে সংলাপের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ট্রাম্প-কিম বৈঠকের জোরালো প্রস্তুতি চলছে৷ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে মতপার্থক্য দূর করতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানও সেই উদ্যোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/2yUVR
কিম জং উন ও মুন জে ইন
ছবি: picture alliance/Xinhua News Agency/Blue House

কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তির সুবর্ণ সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক উদ্যোগ শুরু করেছে৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন শনিবার আচমকা সীমান্তে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ মুন সোমবার বলেছেন, আগামী দিনগুলিতে এমন আরও অঘোষিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উনের সম্ভাব্য বৈঠকের আগে দুই পক্ষের মধ্যে এভাবে বোঝাপড়া গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন মুন৷ তিনি মনে করিয়ে দেন যে, দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতারা যেভাবে কোনো জটিলতা ছাড়াই এত সহজে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বতঃস্ফূর্ত বৈঠকের পরিকল্পনা করতে পারছেন, সেই বিষয়টি বৈঠকের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ৷ দক্ষিণ কোরিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট মুন সম্ভবত সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন৷

উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে বৈঠক সফল করতে মার্কিন প্রশাসনও হাত গুটিয়ে বসে নেই৷ সরাসরি সে দেশের সঙ্গে প্রস্তুতির পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গেও সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন৷ হোয়াইট হাউসের সূত্র অনুযায়ী, সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে'র সঙ্গে টেলিফোনে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন৷ প্রত্যাশিত ট্রাম্প-কিম বৈঠকের আগে তাঁরা একবার মুখোমুখি বসে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন৷ মে মাসের শেষে ক্যানাডার টরন্টো শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে তাঁদের সাক্ষাৎ হতে পারে৷ দুই নেতাই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু, রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র এবং দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার সম্পূর্ণ ও স্থায়ীভাবে দূর করতে চান৷ জাপানের কিয়োডো সংবাদ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী দুই নেতাই ট্রাম্প-কিম বৈঠককে অর্থবহ করে তুলতে সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছেন৷

মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞদের একটি দল যেভাবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চালাচ্ছে, তার ফলে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের আগে সম্ভাব্য বোঝাপড়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা সফল হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ তবে ১২ই জুনের সম্ভাব্য বৈঠকের আগে এত জটিল বিষয় সম্পর্কে অগ্রগতি হাসিল করা কঠিন হবে বলে অনেকে মনে করছেন৷ উল্লেখ্য, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে দুই পক্ষের প্রত্যাশার মধ্যে এখনো বিস্তর ফারাক রয়েছে৷ সেই ব্যবধান কমিয়ে স্পষ্ট বোঝাপড়া সম্ভব হলে তবেই দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক সম্ভব হবে৷ তাছাড়া প্রস্তুতির এই সময়কালে দুই পক্ষকেই বেফাঁস মন্তব্য এড়িয়ে সংযমের পরিচয় দিতে হবে৷ বিশেষ করে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে মুখে কুলূপ আঁটতে হবে৷