ট্রাম্পের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৮ জুন ২০১৭হাস্পেলের বিরুদ্ধে ২০০২ সালে থাইল্যান্ডে এক বন্দিশিবিরে বন্দিদের উপর নির্যাতন চালাতে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে৷মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নির্যাতন নিয়ে ২০১৪ সালে মার্কিন সেনেট সিলেক্ট কমিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল৷ তারপর অজানা সিআইএ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ গঠন করেছিল বার্লিন ভিত্তিক এনজিও ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কন্সটিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস' বা ইসিসিএইচআর৷ ঘটনা যেই সময় ঘটেছিল তখন হাস্পেল গুপ্ত এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন৷ তবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সিআইএ-র ডেপুটি ডাইরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পান৷
ইসিসিএইচআর এর রিট জার্মান ফেডারেল প্রসিকিউটরের কাছে পৌঁছেছে বলে ডয়চে ভেলের কাছে নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র৷
হাস্পেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
২০০২ সালে থাইল্যান্ডে ‘ক্যাটস আই' নামে সিআইএ-র একটি গোপন বন্দিশিবিরের প্রধান ছিলেন হাস্পেল৷ সেই সময় সৌদি নাগরিক যায়ান আল আবিদিন মুহাম্মদ হুসায়েন, যিনি আবু জুবায়দাহ নামেও পরিচিত, তাকে শাস্তি হিসেবে তিন সপ্তাহের মধ্যে ৮৩ বার ‘ওয়াটারবোর্ডিং' করা হয়েছিল৷ এক সময় এই ধরণের শাস্তি দেয়া বৈধ হলেও মার্কিন সেনেট পরবর্তীতে একে ‘নির্যাতন' বলে উল্লেখ করে৷
২০১৪ সালে প্রকাশিত সেনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, বারবার ওয়াটারবোর্ডিংয়ের এক পর্যায়ে আবু জুবায়দাহ অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁর মুখ দিয়ে অনবরত ফেনা বেরিয়েছিল৷
আবু জুবায়দাহকে এই ধরণের শাস্তি বন্ধ করার ক্ষমতা হাস্পেলের থাকলেও তিনি তা করেননি৷
ওসামা বিন-লাদেনের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত আবু জুবায়দাহকে সিআইএ'র বিভিন্ন গোপন বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে৷ সবশেষ তাকে এখন গুয়ানতানামো কারাগারে রাখা হয়েছে৷
এখন যা হবে
বার্লিনভিত্তিক এনজিও ইসিসিএইচআর এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রসিকিউটরদের কাছে সিআইএ সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিল৷ কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সফলও হয়েছে৷ ফলে গ্রেপ্তার এড়াতে সিআইএ তাদের ঐসব কর্মীর ইউরোপে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল৷
বেন নাইট/জেডএইচ