1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ডিজেলগেট’ কেলেঙ্কারির পরিণতি

৩ আগস্ট ২০১৭

জার্মানিতে ডিজেল গাড়ির দূষণ মাপায় কারচুপি ও বায়ু দূষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা সত্ত্বেও গাড়ি কোম্পানিগুলি আপাতত সফটওয়্যার আপডেট করেই রেহাই পেয়ে যাচ্ছে৷ ফলে সরকার সমালোচনার মুখে পড়ছে৷

https://p.dw.com/p/2hbtg
ডিজেল গাড়ি নিয়ে শীর্ষ বৈঠক
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gambarini

ডিজেল গাড়ির ধোঁয়া শরীরে জন্য ক্ষতিকর, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ অত্যাধুনিক মডেলের গাড়িও সেই মারাত্মক নির্গমন তেমন কমাতে পারেনি৷ তার উপর এমিশন বা নির্গমন পরীক্ষায় কারচুপি করতে গাড়ির সফটওয়্যারে রদবদল করা হয়েছে৷ জার্মানির একাধিক গাড়ির কোম্পানি নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে এমন অসাধু কাজ করেছে৷ ফলে জার্মানির বেশ কয়েকটি বড় শহরের বাতাসে বায়ু দূষণ – বিশেষ করে নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু ‘ডিজেলগেট' কেলেঙ্কারির পর বুধবার সরকার ও গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলি সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের শীর্ষ বৈঠকের পর বিতর্ক কমার বদলে উলটে আরও বেড়ে গেল৷

চাপের মুখে কোণঠাসা গাড়ি কোম্পানি জার্মানিতে নতুন মডেলের প্রায় ৫০,০০০ লক্ষ ডিজেল গাড়ির সফটওয়্যার আপডেট করে দূষণের মাত্রা কমানোর অঙ্গীকার করেছে৷ সেই বিশাল কর্মকাণ্ডের ব্যয়ভারও তারাই বহন করবে৷ তাদের দাবি, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে৷ তার প্রমাণ পেতে আপডেটের আগে ও পরে গাড়ির এমিশন টেস্ট করা হবে৷ সেইসঙ্গে পুরানো মডেলের ডিজেল গাড়ি পরিত্যাগ করে নতুন মডেলের ডিজেল বা ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে মালিকদের উৎসাহ ও আর্থিক সুবিধা দেবে গাড়ি কোম্পানিগুলি৷ তাছাড়া শহরের গণপরিবহণ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের জন্য এক তহবিলে ৫০ কোটি ইউরো জমা দেবে তারা৷

সমালোচকদের মতে, নির্বাচনের প্রায় এক মাস আগে সরকার গাড়ি কোম্পানিগুলির প্রতি অতি উদার মনোভাব দেখিয়েছে৷ তাদের শাস্তি দেবার বদলে অতি সহজে রেহাই দেওয়া হয়েছে৷ সফটওয়্যার নয়, ডিজেল ইঞ্জিনে ব্যাপক রদবদল করে দূষণ সত্যি কমানো সম্ভব বলে তারা মনে করে৷ কিন্তু আরও ব্যয়বহুল এই প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পেয়েছে গাড়ি কোম্পানিগুলি৷ তাছাড়া ইউরোপের অন্য অনেক দেশের মতো পেট্রোল-ডিজেল গাড়ি পুরোপুরি বর্জনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মানি৷

আত্মপক্ষ সমর্থনে সরকার অবশ্য বলেছে, এই ‘ডিজেল সামিট'-এ প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মাত্র৷ সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা কমে কিনা, তা পরীক্ষা করা হবে৷ না কমলে কিছু শহরে ডিজেল গাড়ি চলাচল সাময়িক অথবা চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করা হতে পারে৷

সেইসঙ্গে কোম্পানিগুলির উপর হার্ডওয়্যারে পরিবর্তনের জন্য আরও চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে৷ মোটকথা আপাতত সেই দায়িত্ব আগামী সরকারের উপর তুলে দেওয়া হলো৷ নির্বাচনের আগে গাড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিক-কর্মীদের স্বার্থ অনিশ্চিত করে তুলতে চাইছে না জার্মানির দুই বড় রাজনৈতিক দলের মহাজোট সরকার – নিন্দুকরা এমন অভিযোগ করছেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)