দেশজুড়ে সহিংসতা
১ মার্চ ২০১৩হিংসার ঘটনায় হামলাকারীরা সাধারণ মানুষকেও রেহাই দিচ্ছেনা৷ তারা বাড়িঘর দোকানপাটে হামলা চালাচ্ছে৷ চালাচ্ছে লুটতরাজ৷ আর এই সব হামলার ঘটনা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হচ্ছে৷ জামায়াতের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা আর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হচ্ছে৷
গাইবান্ধা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও চাপাই নবাবগঞ্জ জেলায় বেশ কিছু সংখ্যালঘু বসতি এবং মন্দিরে হামলার খবর পাওয়া গেছে৷ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায় আতঙ্কের মধ্যে আছেন৷ হামলার শিকার সুরজিত কুমার প্রামাণিক ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, হামলার পরও তারা পুলিশের সহায়তা পাননি৷ জামায়াত-শিবিরের লোকজন আবারো হামলার হুমকি দিচ্ছে৷
এদিকে চট্টগ্রাম এলাকায় কিছু বৌদ্ধ বসতি এবং মন্দিরেও হামলার অভিযোগ করেছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতা ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতি এবং মন্দিরেও হামলার অভিযোগ পাচ্ছেন তাঁরা৷ রামু বৌদ্ধ বসতির নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷
ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তার কারণে শুক্রবার দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি শান্ত আছে৷ মালিবাগে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত শিবিরের একদফা সংঘর্ষ হয়েছে৷ ঢাকার বাইরে গাইবান্ধা এবং চাপাই নবাবগঞ্জে সংঘর্ষে শুক্রবার আরো ২ জন নিহত হয়েছেন৷ এ নিয়ে ২ দিনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৪১ জন৷ আরো ১০ জেলায় চলছে উত্তেজনা৷
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এই সংঘাতের জন্য জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেছেন৷ অন্যদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একে ‘গণহত্যা' অভিহিত করে সরকারকে দায়ী করছেন৷
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ থেকে দেশজুড়ে এই তাণ্ডবের জন্য জামায়াত শিবিরকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে৷