1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের পথেই এগোচ্ছে সরকার?

২০ জুন ২০১৮

সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা জানিয়েছেন৷কিন্তু বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে আগের দাবিতে এখনো অনড় আছে৷

https://p.dw.com/p/2zvvW
Bangladesch Parlament Gebäude in Dhaka
ছবি: AP

বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে৷ নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে৷ তবে বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক৷ সে নির্বাচনে অনেক দলই অংশ নেবে৷  বিএনপি না এলেও সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যে কেন সংশয় প্রকাশ করছে, তা আমার বোধগম্য নয়৷ কারণ, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে তো বিএনপি অংশ নিচ্ছে৷ কুমিল্লায় জিতেছে, খুলনায় অংশ নিয়েছে, গাজীপুরে অংশ নিচ্ছে৷ বরিশাল এবং রাজশাহীতেও অংশ নিবে৷ সেখানে তাদের প্রার্থী আছে৷ এই সমস্ত নির্বাচনে যদি তারা অংশ নিতে পারে, তবে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে কোথায় তাদের ভয়, সে বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়৷'' 

‘সরকার সংবিধানের বাইরে একচুলও হাঁটবে না''

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের প্রভাব থাকলেও থাকতে পারে, তবে জাতীয় নির্বাচনে তো সরকারের কোনো প্রভাবই থাকবে না৷ তারপরেও নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের কেন সংশয়, সেটা তাদেরকেই জিজ্ঞাসা করুন৷ আর আন্দোলন করে কোনো কিছু করার শক্তি-সামর্থ্য বিএনপির নেই৷''

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশরারফ হোসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কথার জবাবে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমাদের দাবি হলো নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার৷ এখন আমরা দেখি তারা কী করে৷ আমাদের আরো দাবি হলো: সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন৷ এগুলো সব মিলিয়ে নির্বাচন করতে হবে৷ সে (ওবায়দুল কাদের)  হয়তো এককভাবে একটা কথা বলেছে৷ আমরা দেখি বাস্তবে কী হয়৷ যখন গঠন হবে, তখন আমরা দেখবো৷ আর ছোট-বড় কোনো কথা নয়, কথা হলো নির্বাচরকালীন সরকার নিরপেক্ষ হতে হবে৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন৷ এর মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয় না৷ আর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন, সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন৷ তাই দুই নির্বাচন কোনোভাবেই একই মানদণ্ডে বিচার করা যায় না৷ তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে হলে এটা প্রভাবমুক্ত হবে না৷ নিরপেক্ষ হবে না৷ সুষ্ঠু হবে না৷ এটা ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা সরকার সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছে৷ আমাদের নতুন করে বলতে হবে না৷''

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে৷ ওই নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত জোট বর্জন  করে৷ তাদের দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন৷ আর ওই নির্বাচন হয় দলীয় সরকারের অধীনে৷ এর আগে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়৷

‘‘আমাদের দাবি নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার’

বর্তমন আওয়ামী লীগ সকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালের জানুযারি মাসে৷ আর মেয়াদের মধ্যেই সরকার নির্বাচন দিতে চায়৷ তাই নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে৷

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের অবস্থান আগের মতোই (২০১৪ সাল) আছে৷ এটার এক্তিয়ার পুরোপুরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর৷ এখানে যদি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়, সেটা প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে৷ আকার ছোট হবে৷ সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন৷ এবং তিনিই নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন৷''

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক  সম্পাদক আরো বলেন, ‘‘বিএনপি যা-ই দাবি করুক না কেন, সরকার সংবিধানের বাইরে একচুলও হাঁটবে না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য