আওয়ামী লীগের কাউন্সিল
২৯ ডিসেম্বর ২০১২আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর এটা দলের ২৯তম কাউন্সিল৷ আর বর্তমান সরকারের মেয়াদে দ্বিতীয়৷ সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে৷ বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত ২৪শে জুলাই৷ তাই নির্বাচন কমিশন আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে আওয়ামী লীগ তৃনমূল এবং জেলা পর্যায়ের কাউন্সিল না করেই কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করছে৷ তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দাবি করেছেন, শিগগিরই সারা দেশে তৃনমূল পর্যয়েও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে৷
এবারের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়ামে নতুন আরো মুখ যোগ হতে পারে৷ যাঁরা গত কাউন্সিলে বাদ পড়েছিলেন এরকম বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আবারো উঠে আসতে পারেন এই নীতি নির্ধারণী কমিটিতে৷ খাদ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ড. আব্দুর রজ্জাক বলেন, নতুন-পুরাতন মিলিয়েই এবারের কমিটি হবে৷ তবে নতুনদের অবস্থান হবে আরো সংহত৷
সিনিয়র নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও একই ধরনের কথা বলেন৷ তিনি জানান, তাঁর মতো জ্যেষ্ঠরাও যেমন থাকবেন, তেমনই থাকবেন নতুনরাও৷
এদিকে, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আসার কথা জানান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাঙ্গির কবির নানক৷ তিনি বলেন, এজন্য আগে থেকেই একটি শক্তিশালী কমিটি কাজ করে আসছে৷ আর খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রজ্জাক বলেন, এই পরিবর্তন আনা হবে গঠনতন্ত্রকে আধুনিক এবং যুগোপযোগী করতে৷ পরিবর্তনে তৃনমূলের মতামতকেও গুরুত্ব দেয়া হবে৷
এই কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের বাইরে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ তবে স্বাধীনতা বিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি৷