1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যাটোর সহায়তা চায় শঙ্কিত তুরস্ক

২৭ জুলাই ২০১৫

আইএস এবং কুর্দি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক৷ আত্মঘাতী হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর শুরু করা এ অভিযানের পাশাপাশি ন্যাটোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকেও বসছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/1G58U
Türkei Proteste wegen Luftangriffe auf Kurden in Syrien
ছবি: Getty Images/AFP/O. Kose

দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে উত্তর অ্যাটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ‘ন্যাটো’-র সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসছে তুরস্ক৷ সে দেশে এক সপ্তাহব্যাপী ভয়াবহ সহিংসতার পর প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভোতলু ন্যাটোর প্রতি জরুরি বৈঠক আয়োজনের আহ্বান জানান৷ সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামরিক জোটটির ২৮টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবারই একত্র হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এক বিবৃতিতে ন্যাটো ইতিমধ্যে বলেছে, ‘‘(তুরস্কে) ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পরিস্থিতি খুবই খারাপ’’আর তাই এমন বৈঠক হওয়াটা সত্যিই জরুরি৷

গত কয়েকদিনে একাধিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে তুরস্ক৷ সিরিয়া সীমান্তের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় সম্প্রতি ৩২ জন মারা যায়৷ হামলাটির জন্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস-কে দায়ী মনে করছে তুরস্ক সরকার৷ এছাড়া তুর্কি সেনাবাহিনীর ওপরও হামলা চালিয়েছে আইএস৷ সে হামলায় এক সেনাসদস্য মারা যান৷ এরপর শুক্রবার খেকে সিরিয়া সীমান্তে আইএস-এর ঘাঁটি এবং উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের ঘাঁটির ওপর বিমান হামলা শুরু করে তুরস্ক৷ হামলা এখনো চলছে৷

Türkei Luftangriffe auf Kurden in Syrien
একই সঙ্গে আইএস এবং কুর্দি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালাচ্ছে তুরস্কছবি: Reuters/M. Sezer

কুর্দিদের ওপর হামলার ফলে ২০১৩ সাল থেকে তুরস্ক সরকার এবং কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন পিকেকে-র মধ্যে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেল৷ রবিবার পিকেকে জানিয়েছে, তুরস্ক হামলা শুরু করায় দু’বছর আগের শান্তি চুক্তিটির আর কোনো কার্যকারিতা নেই৷

বিমান হামলার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করেছে তুরস্ক৷ শুক্রবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৫১ জনকে গ্রেপ্তারের কথা সরকারি সূত্রই নিশ্চিত করেছে৷ গ্রেপ্তারকৃতরা আইএস, পিকেকে অথবা মার্ক্সবাদী দল ‘ডিএইচকেপি-সি’-র সমর্থক বলে জানানো হয়েছে৷

এদিকে রবিবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভোতলুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানি তুরস্কের পাশে থাকবে৷ তবে পিকেকে-র প্রসঙ্গে ম্যার্কেলের প্রত্যাশা, তুরস্ক যেন ‘‘সব রকমের জটিলতা সত্ত্বেও কুর্দিদের সঙ্গে শান্তির প্রক্রিয়া’’ অব্যাহত রাখে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য