1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ন্যূনতম মজুরি কেউই মানছে না

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ নভেম্বর ২০১৩

মালিক পক্ষের একগুঁয়েমির কারণে অবশেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫,৩০০ টাকা৷ তবে মালিক পক্ষ এটা মানেননি৷ ওদিকে শ্রমিকরা বলছেন, তাঁদের ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ৭,৩০০ টাকা৷

https://p.dw.com/p/1ABR6
Garment workers clash with locals, who they believe are supporting the garment factory owners, during a protest in Dhaka September 23, 2013. More than 100 Bangladeshi garment factories were forced to shut on Monday as thousands of workers protested to demand a $100 a month minimum wage and about 50 people were injured in clashes, police and witnesses said. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: CIVIL UNREST BUSINESS TEXTILE)
ফাইল ফটোছবি: Reuters

সোমবার দীর্ঘ বৈঠক এবং ভোটাভুটির পর, তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫,৩০০ টাকা বলে ঘোষণা করেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায়৷ ৪-২ ভোটে এই মজুরি নির্ধারণ হয়৷ মালিক পক্ষের দু' জন প্রতিনিধিই এই মজুরির বিপক্ষে ভোট দেন৷ তাঁরা সর্বশেষ ৪,৪৫০ টাকা মজুরি দিতে রাজি হন৷

নির্ধারিত ৫,৩০০ টাকার মধ্যে মূল বেতন ৩,২০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১,২৮০ টাকা, চিকিত্‍সা ভাতা ৩২০টাকা, যাতায়ত ২০০ টাকা এবং খাদ্য ভর্তুকি ৩০০ টাকা৷

এর আগে ২০১০ সালে সর্বশেষ ৩,০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়৷ এরপর তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুন এবং রানা প্লাজা ধসের পর, পোশাক শ্রমিকদের নিরপত্তা এবং মজুরি নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রশ্ন ওঠে৷ তাই তিন মাস আগে নতুন করে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়৷ শুরুতে মালিকপক্ষ মাত্র ৬০০ টাকা বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা মজুরির প্রস্তাব করে৷ আর শ্রমিকরা দাবি করেন ৮,১০০ টাকা৷

সোমবারের বৈঠকে মালিকরা শেষ পর্যন্ত ৪,৪৫০ টাকা ন্যূনতম মজুরি দিতে রাজি হন৷ শ্রমিকরা দাবি করেন ৭,৩০০ টাকা৷ অবশেষে নিরপেক্ষ প্রতিনিধিরা ৫,৩০০ টাকা প্রস্তাব করলে তা ভোটাভুটির মাধ্যমে পাস হয়৷

বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, এটা খসড়া, যা চূড়ান্ত হবে ৯ই নভেম্বর৷ তাঁরা চাইবেন, মজুরি যেন ৭,৩০০ টাকাই নির্ধারণ করা হয়৷ এ জন্য তাঁরা আন্দোলনে যাবেন না কি করবেন, তা শ্রমিক সংগঠনগুলো বৈঠক করে ঠিক করবে৷

এদিকে মালিক পক্ষের প্রতিনিধি আশরাফ জামাল দিপু ডয়চে ভেলেকে জানান যে, তাঁদের পক্ষে ৫,৩০০ টাকা মজুরি দেয় সম্ভব নয়৷ তাঁরা এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন৷ কারণ, এই মজুরি দিলে তাঁদের পক্ষে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে৷

ওদিকে ২০১০ সালের মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ ডয়চে ভেলেক জানান, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কমপক্ষে ৬,০০০ টাকা হওয়া উচিত৷ মজুরি কমিশনের উচিত ছিল, সোমবারই খসড়া প্রকাশ না করে মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে ৬,০০০ টাকা নির্ধারণ করা৷ তিনি বলেন, এভাবে ভোটাভুটি করে নয়, সমঝোতা এবং ঐক্যমতের ভিত্তিতে মজুরি নির্ধারণ করা উচিত৷ নয়ত তা কার্যকর করতে সমস্যা হবেই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য